Arpita Mukherjee: মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা, সম্মতি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের!
ইতিমধ্যে জমা পড়েছে ইডি’র চার্জশিট। সেই চার্জশিট থেকে উঠে এসেছে বহু চমকপ্রদ তথ্য, যা জানলে আপনার রাজনৈতিক জীবন স্বার্থক হবেই হবে। একটা শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ঘিরে উঠে এসেছে বহু অন্ধকারময় দিক – পরকীয়া, অশ্লীল সম্পর্ক, বহু টাকার নয় ছয় থেকে শুরু করে মিথ্যাচার এবং কলঙ্কময় রাজনীতি।
যেই পার্থ আদালতে জানিয়েছিলেন যে তিনি অর্পিতাকে সেভাবে চেনেন না, পুজোর মণ্ডপে কয়েকবার দেখেছেন, সেই অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে পাওয়া যায় কোটি কোটি টাকার পাহাড়, সোনা এবং সরকারি খাম ও খামে মোড়া টাকার বান্ডিল। ইতিমধ্যে, অর্পিতা লিখিত দাবি করেছেন যে ওই পাহাড় প্রমাণ কোটি কোটি টাকা সবটাই পার্থর, তার নিজের নয়। এমনকি, সেই চার্জশিট থেকে এও জানা গিয়েছে অর্পিতার নামে যেই ৩১টি জীবন বিমা পলিসি ছিল, যার বার্ষিক প্রিমিয়াম জমা পড়ত ১.৫ কোটি টাকা, সেই বার্ষিক প্রিমিয়াম জমা করতেন খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজে। তাহলে কোর্টে প্রমাণ হচ্ছে পার্থ অর্পিতার সম্পর্ক ভালই ছিল, অথচ পার্থ কোর্টে বলেন যে অর্পিতাকে তিনি সেভাবে চেনেন না।
কাহিনীর পরের অংশ পড়লে বুঝতেই পারবেন যে স্ত্রী বেচেঁ থাকতে তিনি পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান। ২০১২ সাল থেকে পার্থ ও অর্পিতার যোগাযোগ ছিল বলে বহু ক্ষেত্রে প্রমাণ মিলেছে, এবং তখন থেকে উভয়ের নামে একাধিক যৌথ সম্পত্তিরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এদিন জানান যে তিনি সন্তান চেয়েছিলেন। ইডি সূত্রে খবর , অর্পিতা সন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় অনাপত্তির শংসাপত্র (নো অবজেকশন লেটার) দিয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়!
কোর্ট কি বিচার করবে পরবর্তী বিষয়। এখনও পর্যন্ত জনসাধারণ বুঝে গিয়েছে ২০১২ থেকে চলেছে পরকীয়া, টাকার নয় ছয়, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, কোটি কোটি টাকা সম্মিলিত ভাবে লুট, অরাজকতা, মিথ্যাচার ইত্যাদি ইত্যাদি।