Weather: আজ থেকেই শরতের আগমন বাংলায়, কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া!
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শেষেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল যে এবছর বর্ষা বিলম্বে প্রবেশ করতে চলেছে রাজ্যে। সেই বিলম্বের অপেক্ষা জুন থেকে জুলাই অবধি গড়িয়েছে। কিন্তু শেষলগ্ন অবধি যেন দক্ষিণবঙ্গবাসীর বৃষ্টির চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বর্ষা। বাংলায় এখনো চলছে মেঘ, বৃষ্টি ও রোদের খেলা। কোথাও নেই কোনো ভারী বৃষ্টি বা একটানা বৃষ্টির রেশ। মূলত হালকা থেকে মাঝারি ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতেই ভিজছে বাংলা।
তবে এই মুহূর্তে রাজ্যের আবহাওয়ার তেমন বদলের সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ, ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা তেমন নারী রাজ্যে। যদিও মলুসম ভবন জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরের মাঝে আগামী ৪৮ ঘন্টায় তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এদিকে ইতিমধ্যে, উত্তর-পূর্ব বিহার থেকে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে। তা সত্ত্বেও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির তেমন সভাবনা নেই আজ। এখন একনজরে দেখে নিন যে আজ কেমন থাকবে রাজ্যের আবহাওয়া।
■ কলকাতার আবহাওয়া: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ কখনো কখনো মেঘলা থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। তবে তাপমাত্রা ও অর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে আজ শহরজুড়ে। আজ কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ছিটেফোঁটা বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শহরের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। পাশাপাশি, এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯১ শতাংশ এবং ৫৬ শতাংশের মাঝামাঝি অবস্থায় থাকবে।
■ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া: আজ দক্ষিণবঙ্গের মোটামুটি সব জেলাতেই শুস্ক আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির তেমন কোনো সম্ভাবনা আজ নেই দক্ষিণবঙ্গে। সেই কারণে সমস্ত জেলার তাপমাত্রা আজ বাড়তে চলেছে। সেইসঙ্গে বাড়বে অর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তবর শুক্রবার কয়েকটি গাঙ্গেয় জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু তেমন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই আজ।
■ উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া: আজ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ দার্জিলিং, কালিম্পং,জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায় রয়েছে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। তবে মালদা, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আজ বাড়তে পারে তাপমাত্রা। সঙ্গে বাড়বে অস্বস্তিও।