Hoop Special

Tourism: ইতিহাস ভালবাসেন? ঘুরে আসুন মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল থেকে

আপনি কি বেড়াতে ভালবাসেন কিংবা ইতিহাস যদি ভালোবাসেন তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত ডেস্টিনেশন হতেই পারে মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপাল। গোটা শহর জুড়ে অনেক আকর্ষণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, মোটামুটি দুই থেকে তিন দিন হাতে সময় নিয়ে ভোপাল ঘুরে আসতে পারেন। মধ্যপ্রদেশের ঐতিহাসিক জায়গা গুলি হল সাঁচি এবং ভীমবেটকা অবশ্যই ঘুরে আসবেন।

বেড়াতে তো যাবেন কিন্তু তার আগে জেনে নিন ভোপালের ইতিহাস সব মিলিয়েই পুরো জায়গাটি কিন্তু একটা ঐতিহাসিক স্থল, এমনটা বলাই যায়। ১১০০ শতকে পারমার রাজ ভোজ হাতে এই শহরের পত্তন হয়। হঠাৎ করে এই রাজার চর্মরোগ দেখা যায় তার চর্মরোগ সারানোর জন্য একটি জলাশয় তৈরি করা হয়, তাই এই জায়গাটির নাম হয় ভোজ পাল। পাল অর্থাৎ বাঁধ আর সেই থেকেই জায়গার নাম হয় ভোপাল।

তবে অনেকে আবার মনে করেন, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর তার সৈন্যদলের সদস্য দোস্ত মোহাম্মদ খান আধুনিক এই ভোপালের গোড়াপত্তন করেন। প্রথমেই ঘুরে আসতে পারেন আপার লেক এবং সেই পারে আছে রাজা ভোজের মুর্তি। এছাড়া লেকের ধারে টিলার উপরে আছে চিড়িয়াখানা। অসাধারণ চিড়িয়াখানা দেখে আসতে পারেন বা যারা জঙ্গল ভালোবাসেন তারা ঘুরে আসতে পারেন সাফারি পার্ক থেকে।

সবুজে ঘেরা অসাধারণ এই প্রায় ৫০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে এই পার্কটি দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগবে। সকাল সাড়ে ছটা থেকে সন্ধে ছটা অবধি খোলা থাকে এই অসাধারণ পার্ক। এখানে গেলে দেখতে পাবেন বাঘ, সাদা বাঘ, লেপার্ড, ভল্লুক, নীলগাই, নানা ধরনের হরিণ এবং কত রকমের পাখি মাথাপিছু প্রবেশ মূল্য ছাড়াই অসাধারণ এই জায়গাটি ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

এরপর দেখতে পারেন গোহর মহল। এই জায়গাটি ১৮২০ সালে গোহর বেগম বানান। এই ঐতিহাসিক ভবনটি সফলভাবে হিন্দু ও মুঘল স্থাপত্য শৈলীর মধ্যে সঠিক ভারসাম্য পাওয়া যায়।

এরপর দেখুন লোয়ার লেক যা ছোট তালাব নামেও পরিচিত, এটি ভোপালের অন্যতম সুন্দর হ্রদ। এই দুটি হ্রদ পুল পাখতা নামে একটি ওভার ব্রিজ দ্বারা পৃথক করা হয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, ১৭৯৪ সালে ছোট খান এই হ্রদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

কিভাবে ভোপাল পৌঁছাবেন- এই জায়গাটি থেকে নিকটতম মেট্রোপলিটন শহর মুম্বাই তাই সহজে মুম্বাই থেকেও এই জায়গাটিতে আসতে পারেন। নিকটের বিমানবন্দর হল রাজা ভোজ বিমানবন্দর তাই যে কোন জায়গা থেকে এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে সহজেই চলে আসতে পারেন, নিকটতম রেলপথ হল ভোপাল রেল স্টেশন।

Related Articles