Tourism: হাঁসফাসানি গরম থেকে খানিকটা রেহাই পেতে ঘুরে আসুন এই পাঁচটি অসাধারণ জায়গা থেকে
নর্থ বেঙ্গল বেড়াতে গিয়ে এই জায়গাগুলি দেখে আসতে একেবারেই ভুলবেন না, বিশেষ করে যারা প্রকৃতি প্রেমিক আছেন তাদের জন্য নর্থ বেঙ্গল এর এই জায়গা বেশ ভালো লাগবে। গরমকালে যখন কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অনেক গরম পড়ে, মানে দম আটকে যাওয়ার জোগাড় হয়, তখন কিন্তু মন বলে ছুটতে চলে যায় নর্থ বেঙ্গল। নর্থ বেঙ্গলের এই কয়েকটি জায়গায় গিয়ে আপনি যেন স্বর্গ রাজ্য দেখতে পাবেন।
কোলাখাম – প্রথমেই যে জায়গাটির নাম করতে হয় সেটি হল কোলাখাম। কোলাখামকে বলা হয় পাখিদের স্বর্গরাজ্য। যারা পাখি ভালোবাসেন তাদের জন্য এই জায়গাটি বেশ ভালো হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮৬৮ মিটার উঁচুতে অবস্থিত দার্জিলিংয়ের কালিম্পং পর্বতের কাছে অবস্থিত অসাধারণ এই জায়গাটি। এখান থেকে বরফাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা খেয়ে খুব সুন্দর দেখতে লাগে, বিশেষ করে যারা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটা পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই জায়গাটি ভীষণ সুন্দর। ওখান থেকে ৫ কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন চাঙ্গে ফলস দেখতে।
সামসিং– আমাদের দ্বিতীয় ডেস্টিনেশন হতেই পারে সামসিং। ছোট ঝর্ণা জঙ্গল ছোট ছোট বাগান চায়ের বাগান সব মিলিয়ে অসাধারণ জায়গায় এটি। নিউরা ভ্যালি ন্যাশনাল পার্ক থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে এখানে অনেক পর্যটকের আগমন হয়। ওখান থেকে মাত্র দু কিলোমিটার গিয়েই দেখতে পাবেন মূর্তি নদীর তীর।
সেঁলারিগাও– নর্থ বেঙ্গল এর আরেকটি অসাধারণ ডেস্টিনেশন হলো সেঁলারিগাও, এটি অসাধারণ একটি ছোট্ট গ্রাম। চারিদিকে পাইন বনের জঙ্গলে ঘেরা গ্রামটিতে গেলে যেন মনে হবে বুক ভরে অক্সিজেন নিয়ে নিই। দার্জিলিং জেলায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত অসাধারণ এই গ্রাম। এখান থেকে পেদং গ্রামটিও সহজে ঘুরে আসতে পারেন প্রায় 8 কিলোমিটার দূরে।
শ্রীখোলা– নর্থ বেঙ্গল বেড়াতে যাবেন না, শ্রীখোলা যাবেন না, তা তো হতেই পারে না। পাহাড়ের পাদদেশে এমন ছোট্ট গ্রাম যার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ঝরনা, নদী আরও কত কিছু। আর এখানেই রয়েছে সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্ক এখানে গেলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন জায়গাটি।
পালমাজুয়া– নিউ জলপাইগুড়ি থেকে মোটামুটি সাড়ে চার ঘন্টা এগিয়ে গেলেই আপনি পেয়ে যাবেন অসাধারণ একটি জায়গা যার নাম পালমাজুয়া। এখানেই অবস্থিত সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল পার্ক যেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন লাল রংয়ের পান্ডা, এছাড়াও প্রায় ১৭০ প্রজাতির পাখি। এছাড়া যারা ট্রেকিং করতে পছন্দ করেন, তারা এখানে এসে সহজেই ট্রেকিং করতে পারবেন। এছাড়া এখানে পশ্চিম সিকিমে যেখানে গোলাপের চাষ হয়, সেই জায়গাটি একেবারে দেখতে পাবেন। এখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন মেঘমা, রিম্বিক আরো কত জায়গা থেকে। তবে আর দেরি কেন প্যাচেপ্যাচে গরমের হাত থেকে বাঁচতে প্ল্যান করেই ফেলুন নর্থবেঙ্গল বেড়াতে যাওয়ার।