Hoop Special

Tourism: কয়েকদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন শহর থেকে দূরে ‘মিনি তিব্বত’ থেকে

এখনো বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব হয়, এইরকম সময় বাড়িতে বসে না থেকে ঘুরে আসতে পারেন মিনি তিব্বত থেকে। কি ভাবছেন তিব্বত বেড়াতে যাওয়া মানে তো অনেক খরচের ব্যাপার, আর অনেকগুলো দিন সময় লাগে কিন্তু আপনি কি জানেন ভারতের মধ্যেই আছে মিনি তিব্বত। সেখানে যেতে কিন্তু খুব বেশি সময় লাগবে না। আর দেরি না করে ব্যাগ পত্র গুছিয়ে চলেই যেতে পারে অসাধারণ এই জায়গাটি।

বাঙালি মানেই ভ্রমণ পিপাসু, বাঙালী যেতে চায়না এমন কোন জায়গা নেই তবে বাঙালির কাছে পিঠে ঘুরে বেড়ানোর জায়গা হল দীঘা, পুরী। চেনা এই ছকের বাইরে যদি একটু অন্য কোথাও যেতে চান, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন ছত্রিশগড়ের মেইনপাট থেকে। পাহাড় ভালোবাসেন, ট্রেকিং ভালবাসেন তাদের কিন্তু এই জায়গাটি ভীষণ ভালো লাগবে।

পরিবারের সাথে অথবা মনের মানুষকে সাথে নিয়ে মধুচন্দ্রিমা কাটাতে যেতেই পারে, অসাধারণ এই জায়গাটিতে। সুন্দর পাহাড়ি, জঙ্গল, জলপ্রপাত সব মিলিয়ে একেবারে যেন স্বর্গ রাজ্য এই জায়গাটি এখানে রয়েছে তিব্বতীদের বসবাস। তাইতো এই জায়গাটিকে মিনিটে বদ বলে তবে এই জায়গাটিতে সিমলাও বলা হয়।

টাইগার পয়েন্ট জলপ্রপাত: এই জায়গাটি থেকে ঘুরে আসতে পারেন অসাধারণ কতগুলি জায়গায়। যে জায়গাটি দেখতে পারেন সেটি হল টাইগার পয়েন্ট জলপ্রপাত। ছত্রিশগড়ের সুরগুজা জেলায় অবস্থিত অসাধারণ এই জলপ্রপাতটি দেখতে বেশ ভালো লাগবে।

ঢাকপো শেদুপলিং মঠ: মঠগুলির মধ্যে একটি, এটি একটি বৌদ্ধদের জন্য একটি ধর্মীয় ও শিক্ষাকেন্দ্র হিসাবে কাজ করে।

ফিশ পয়েন্ট: এখানকার প্রবাহিত নদী থেকে এই মনোরম স্থানটির নাম হয়েছে মাচালি নদী । নদীটি বিশেষ জাতের প্রচুর মাছের জন্য পরিচিত। নদীটি এবড়োখেবড়ো পাহাড়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং 80 মিটার থেকে একটি জলপ্রপাতের সাথে মিলিত হয়েছে।

ভুটাহি জলপ্রপাত: এই জলপ্রপাতটি সম্ভবত মেইনপাটের সবচেয়ে মুগ্ধকর জিনিস। আঁকাবাঁকা প্রবাহিত হয়ে এবং দেখতে সাদা এবং ফেনাযুক্ত। প্রবল স্রোত এর আওয়াজের জন্য এটি প্রায়শই “ভুতুড়ে” বলে বিবেচিত হয়।

সব জায়গা ঘুরে বেড়ানোর পর যখন পেতে ছুঁচো দৌড়াবে তখন কিন্তু এই জায়গার অসাধারণ রেস্টুরেন্ট গুলিতে তিব্বতি খানা খেতে পারেন।

১) তিব্বতি লাসা রেস্তোরাঁ

২) স্কাই গার্ডেন এবং রেস্টো

৩) জাম্বালা রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং ক্যাফে

৪) টপ হিলস রেস্তোরাঁ

৫) তাশি-ইহা তিব্বতি রেস্তোরাঁ

ঐতিহাসিকভাবে, মেইনপাট বেশিরভাগই ছিল জঙ্গল এবং এটি দেশের অন্যতম বনাঞ্চল। আগের শতাব্দীতে, গ্রাম এবং বনাঞ্চল যাদব এবং মাঞ্জি, মাঞ্জওয়ার, কানওয়ার এবং পাহাড়ি কোরোয়ার মতো আদিবাসীদের আবাসস্থল ছিল। 1960-এর দশকে, তিব্বতে চীনা আক্রমণের পর, অনেক তিব্বতি নির্বাসিত এখানে আশ্রয় চেয়েছিল এবং এখনও স্থানীয় জনসংখ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করে।

আকাশ পথে
নিকটতম বিমানবন্দর হল রায়পুর যা 350 কিমি, রায়পুর ফ্লাইটের মাধ্যমে অনেক বড় শহরের সাথে সংযুক্ত।

রেল যোগে
রায়গড় থেকে 178 কিলোমিটার দূরে মেইনপাট। যা একটি প্রধান স্টেশন এবং অন্য ছোট স্টেশন হল অম্বিকাপুর যা 80 কিলোমিটার দূরে।

Related Articles