Tourism: বসন্তের আমেজ গায়ে মেখে ঘুরে আসুন কাছে পিঠের পাখি পাহাড় থেকে
শীতের তো এবার যাবার পালা, আসছে ঋতুরাজ বসন্ত। প্রকৃতি তাই সেজে উঠেছে রংবেরঙের পলাশ আর শিমূলে। আপনিও যদি প্রকৃতির এমন রংবেরঙের শোভা দর্শন করতে চান, তাহলে আপনার পরের ডেস্টিনেশন হতেই পারে পাখি পাহাড়। এখানে গেলে আপনি পাহাড়ের গায়ে অনেক রকমের পাখি আঁকা দেখতে পাবেন, তবে এমন পাখি কেন আঁকা থাকে জানতে ইচ্ছা করছে? এই পাখি পাহাড়ের রহস্য কি?
পাখি পাহাড় আছে পুরুলিয়ায়, তাই কলকাতা থেকে খুব বেশি দূরে নয়, বাড়ির কয়েকজনকে নিয়ে কিংবা মনের মানুষকে সাথে নিয়ে বসন্তের ছুটিতে অনায়াসে চলে যেতে পারেন পাখি পাহাড় দেখতে। পুরুলিয়া মানেই সবাই ছোটেন অযোধ্যা, মুরুগুমা নানান রকম জায়গা দেখতে, কিন্তু পুরুলিয়া মানে যদি এগুলো হয় তাহলে কিন্তু আপনার ধারণা একেবারেই ভুল। এখানকার আরেকটি অসাধারণ জায়গা হল পাখি পাহাড়।
শুনে জানতে ইচ্ছা করছে যে পাখি পাহাড়টার নাম এমন পাখি পাহাড় কেন হল? এই পাখি পাহাড় নাম হওয়ার পেছনে রয়েছে এক ইতিহাস, কিভাবে তৈরি হলো তার ইতিহাস কিন্তু যাওয়ার আগে একবার জেনে নিতে হবে। ১৯৯৪ সাল থেকে চিত্রশিল্পী চিত্ত দের হাত ধরে পাখি পাহাড় গড়ে ওঠে। প্রকৃতির মধ্যে অগাধ ভালোবাসা ছিল এই শিল্পীর, তাইতো তিনি নিজের শৈল্পিক ভাবনাকে রূপ দিতে এই পাহাড়টিকে ব্যবহার করেছিলেন।
প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান করে এই পাহাড়টিকেই তার পছন্দ হয়েছিল তার শিল্পের রূপ দেওয়ার জন্য। বনদপ্তরের কাছে পাহাড়টি খোদাই করার জন্য তিনি প্রথমে অনুমতি চেনেন। তবে তারই কর্মকান্ডে অনেকেই প্রথমে হাসাহাসি করেছিলেন কিন্তু এখন সেই পাখি পাহাড় কিন্তু পুরুলিয়ার অন্যতম একটা বেড়াতে যাওয়ার জায়গায় পরিণত হয়েছে।
সুন্দর জায়গায় কিভাবে যাবেন জেনে নিন-
হাওড়া থেকে চক্রধরপুর এক্সপ্রেস এ আপনাকে আসতে হবে বরাভূম স্টেশনে সেখান থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন পাখি পাহাড়। তবে আর কি দেরি না করে পরিবারের সঙ্গে এক দু দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন অসাধারণ এই পাখি পাহাড় দেখতে। আর হাতে যদি সময় থাকে তাহলে পুরুলিয়ার নানান রকম জায়গা ঘুরে দেখে আসতে পারেন।