Tourism: দুদিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন ছবির মতো সুন্দর এই গ্রামে, মন ভালো হতে বাধ্য
একটু ঠান্ডা পড়তে না পড়তেই অনেকেই অনেক জায়গায় বেড়াতে চলে যাচ্ছেন দার্জিলিং, পুরী, দীঘা তার মধ্যে হয়তো টপ লিস্টে রয়েছে, কিন্তু যারা একটু অন্য জায়গা অর্থাৎ অফবিট জায়গা পছন্দ করেন তারা কিন্তু অনেকেই পুরুলিয়া ভ্রমন করছেন, তবে পুরুলিয়ার মধ্যে অযোধ্যা একটি অন্যতম জায়গা। কিন্তু যারা এর মধ্যে থেকেও একটু অফবিট জায়গা খুঁজে নিতে চান, তারা কিন্তু ঘুরে আসতে পারেন অসাধারণ একটি জায়গা থেকে এই জায়গাটি পুরুলিয়াতেই অবস্থিত।
ভাবছেন, হয়তো পুরুলিয়ার তো মোটামুটি সব জায়গায় ঘুরে ফেলা হয়ে গেছে। এরপরে আবার এমন কোন জায়গা আছে যেখানে যাওয়া হয়নি। হ্যাঁ, এবার আমরা যাব পুরুলিয়ার একটি অফবিট জায়গায় যে জায়গাটি কিন্তু পুরুলিয়ার ভেতরে আরো সুন্দর। সামনেই বসন্তকাল আসছে শাল, পিয়াল, পলাশ, শিমুল সমস্ত গাছে একেবারে ভরে উঠবে পুরুলিয়ার আনাচে-কানাচে তাই আপনার পরবর্তী ডেস্টিনেশন হতেই পারে, পুরুলিয়া আর এই অসাধারণ গ্ৰাম টি।
বরাভূম স্টেশন থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে সোনকুপি। পথে যেতে পড়বে টাইগার মোড়, তবে এখানে স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় বাঘের মামার বাড়ি। চারিদিকে শুধু লাল পাথরে কাকুরে মেঠো পথ আর মাঝে পড়বে পাখি পাহাড়। সমস্ত কিছু দেখতে দেখতে ঢুকে পড়তে পারবেন শোনকুপী বাঞ্জারা ক্যাম্পে।
বাঞ্জারা ক্যাম্পে একটুখানি খাওয়া দাওয়া করে খানিক জিরিয়ে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন, এদিক ওদিক। যেদিকে দুচোখ যায় চলে যেতে পারেন। যারা কংক্রিটের জঙ্গলে থাকতে থাকতে একেবারে তাদের মন খারাপ হয়ে গেছে, তারা দুদন্ড মন ভালো রাখতে, ঘুরে আসতেই পারে না অসাধারণ এই জায়গাটি থেকে। অযোধ্যা পাহাড় চৌওয়ের মুখোশের গ্রাম না বাগমুন্ডি পাহাড় এসবগুলোও কাছাকাছির মধ্যে ঘুরে দেখার জন্য আদর্শ।
এছাড়াও আশেপাশে দেখে নিতে পারেন ঠুরগা নদী। কুলু কুলু শব্দে আপনার সময় মন্দ কাদবে না। কাছাকাছি ঘুরে আসতে পারেন মাঠাবুরু, কোকুবুরু। এছাড়া একটা গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন চড়িদা। এখানে ঘুরতে যাওয়ার সেরা সময় বসন্তকাল, তবে মন চাইলে যে কোন সময় ঘুরে আসতে পারেন পুরুলিয়া।
এবার জেনে নিন কিভাবে যাবেন অসাধারণ এই জায়গাটিতে –
চক্রধরপুর বা হাওড়া রাঁচীগামী ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস আপনাকে নামতে হবে বরাভূম স্টেশনে। পুরুলিয়া থেকে ক্যাম্পের দূরত্ব প্রায় ৪৮ কিমি ক্যাম্পে আগে থেকে জানানো থাকলে স্টেশনে গাড়ি পাঠিয়ে দেবে। তবে আর কি ব্যাগ পত্র গুছিয়ে একবার ঘুরেই আসতে পারেন সোনকুপি থেকে।