পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নামকরণ করা হয়েছিল কিভাবে
পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে জলপাইগুড়ি হলো একটি অন্যতম জেলা। তবে ইতিহাস বলছে এই এলাকা খ্রিস্টীয় নবম ও দশম শতকে বরেন্দ্রভূমি নামে পরিচিত ছিল। অবিভক্ত বাংলায় এই অঞ্চলের নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধন। ইতিহাস থেকে জানা যায় পর্যটক হিউয়েন সাঙ ও সন্ধ্যাকর নন্দীর মতে পুন্ড্রবর্ধনের ভৌগোলিক সীমানা ছিল পশ্চিম দিকে গঙ্গা ও পূর্ব দিকে করোতোয়া মধ্যবর্তী ভূভাগ।
তবে জলপাইগুড়ি জেলা আজও ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করছে। নতুন জলপাইগুড়ি জেলার মহকুমা সংখ্যা তিনটি, পৌরসভার সংখ্যা চারটি, থানা ১৬ টি, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সংখ্যা ১৪৮ টি, গ্রামের সংখ্যা ৫৯৫ টি। জলপাইগুড়ি জেলার পূর্ব দিকে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, পশ্চিমে রয়েছে দার্জিলিং, উত্তরে রয়েছে ভুটান এবং দক্ষিণে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলা এবং বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা।
এই অঞ্চলে হিন্দু ধর্মের পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মের প্রাধান্য দেখা মেলে। তাই এখানে প্রাচীন মন্দিরের পাশাপাশি প্রচুর বৌদ্ধদের উপাসনা স্থলও দেখা যায়। এই অঞ্চলের নামকরণ নিয়ে বহু মতভেদ আছে। তবে অনেকেই মনে করেন, এখানে জলপাই গাছের বাহুল্যতার জন্যই এই অঞ্চলের নাম হয়েছে জলপাইগুড়ি। ‘গুড়ি’ অর্থে এখানে ‘স্থান’কে বোঝানো হয়েছে।
তবে অনেকেই মনে করেন জল্পেশ নামে এক হিন্দু রাজার দ্বারা এই সময় অঞ্চল শাসিত হতো। আর সেখানেই তিনি একটি শিবের মন্দির ও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর এই মন্দিরের নাম ছিল ‘জল্পেশ ধাম’। সেই থেকেই এই অঞ্চলের নামকরণ হয় জলপাইগুড়ি।