কথায় আছে পাঁকে পদ্ম ফোটে আবার রাজা ছেলে রাজাই হয়। কিন্তু এই গল্পে চরিত্র গুলো এক হলেও কাহিনী কিছুটা উল্টো। একটা সময় এমন দাপিয়ে বলিউডে এবং বাংলা সিনেমা জগতে অভিনয় করেন মিঠুন চক্রবর্তী যে বর্তমানে তিনি মহাগুরু। বলিউড থেকে টলিউড তাকে এক নামেই চেনে। একটা সময় ফাঁকা পকেটে পরিচালকদের দরজায় দরজায় ঘোরা যুবক আজ প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। কিন্তু একি হল মেগাস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর ছেলে মহাক্ষয় (মিমো) চক্রবর্তীর!
সিনেমা জগতে আসর ইচ্ছা নিয়ে প্রায় ১২টির মতন ফিল্ম করে ফেলেছেন মিঠুন পুত্র মিমো। কিন্তু কোনো সিনেমাতেই সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি তিনি। প্রায় ফ্লপের লিস্টেই রয়েছে তার অভিনীত প্রত্যেকটি মুভিই। মহাগুরুর পুত্র হলেও রাজা কাজ বেটা যে সবসময় রাজা হয় না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মিমো। যদিও ২০১১ সালে, তার প্রথম মুক্তি ছিল হান্টেড – থ্রিডি যা প্রথম ভারতীয় স্টেরিও-স্কোপিক থ্রিডি হরর ফিল্ম। ছবিটি ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি বিশাল সমালোচনামূলক হয়ে ওঠে এবং এটি চক্রবর্তীর প্রথম হিট।
এরপরে তাকে বারবার বাবার সঙ্গে তুলনা করা হয় ঠিক যেমনটা অমিতাভ ও অভিষেকের সঙ্গে হয়ে থাকে। একটা সময় ডিপ্রেসন ভুগতেন মিমো। কিন্তু এখন সেসব পার করেছেন এবং তিনি বুঝেছেন তার বাবার আলাদাই একটা জায়গা রয়েছে। কেরিয়ার যখন তিনি লড়ছেন ঠিক সেইসময় ছন্দ পতন হয় মিমোর। ২০১৫ সালে জড়িয়ে যান ধর্ষণ মামলায়। সেইসময় মহাক্ষয় (মিমো) চক্রবর্তী এবং স্ত্রী যোগিতা বালির বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেন এক তরুণী মডেল।অভিযোগকারিনী তাঁর বয়ানে জানান, ২০১৫ সাল থেকে তিনি মিমোর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। একবার মিমো তাঁর সফ্ট ড্রিঙ্কে মাদক মিশিয়ে দিয়েছিলেন এবং তারপর অনুমতি ছাড়াই তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করেছিলেন। অভিযোগকারিনীকে মহাক্ষয় বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বলে তাঁর দাবি।এরই সঙ্গে অভিযোগকারিণীর দাবি, মহাক্ষয় জোর করে তাঁকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে চাপ দিয়েছিলেন। যদিও মহাক্ষয়ের ২০১৮ সালে অভিনেত্রী মদালসা শর্মার সঙ্গে বিয়ে হয়।
মদালসা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় এছাড়াও ছোট পর্দাতেও তিনি সমান জনপ্রিয়। মিঠুন পুত্র মিমো সমান তালে চেষ্টা করছেন ফিল্মি কেরিয়ার নিয়ে। সম্প্রতি মুক্তি পেল ‘ম্যায় মুলায়ম সিংহ যাদব’। অন্যদিকে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে সম্প্রতি শ্যুটিং শেষ করলেন ‘জোগিরা সারা রা রা’র।