বর্তমানে কলকাতায় চলছে আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। তারকাখচিত চলচ্চিত্র উৎসব ঘিরে চলছে বিতর্কও। কিন্তু কয়েকজন সেলিব্রিটি আছেন যাঁরা শীতের সকালে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করতে পছন্দ করেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন দেবলীনা কুমার (Devlina Kumar)। সকালে সাইকেল চালিয়ে ক্যাফেতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন তিনি।
দেবলীনা যথেষ্ট ফিটনেস সচেতন। প্রায়ই তাঁকে দেখা যায় সকালে কলকাতার রাস্তায় সাইকেল চালাতে। রবিবার বালিগঞ্জের একটি নামী ক্যাফের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করলেন দেবলীনা। তিনি লিখেছেন, সাইক্লিস্ট হিসাবে বালিগঞ্জের ওই ক্যাফেতে গিয়েছিলেন দেবলীনা। কিন্তু তাঁকে ক্যাফেতে ঢুকতে বাধা দেন ওই ক্যাফের নিরাপত্তারক্ষী। তিনি দেবলীনার সাইকেলের দেখাশোনা করতে অস্বীকার করার পাশাপাশি ক্যাফের নিজস্ব পার্কিং এলাকায় দেবলীনার সাইকেল রাখতে দেওয়া হয়নি। অথচ সেখানে প্রচুর ফাঁকা জায়গা ছিল। দেবলীনা জানিয়েছেন, ওই ক্যাফে তাদের একজন গ্রাহক হারাচ্ছে, তা নিয়ে ওদের কোনও মাথা ব্যথাই ছিল না। উপরন্তু তাঁকে ঢুকতে না দেওয়ায় নিরাপত্তারক্ষী তাঁর দিকে তাকিয়ে হাসছিলেন ও ব্যঙ্গ করছিলেন।
দেবলীনার মতে, পরিবেশের স্বার্থে, ফিটনেসের স্বার্থে, ট্র্যাফিক জ্যাম কমাতে এবং আনন্দের জন্য সাইক্লিং-কে জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের ব্যবহার যথেষ্ট দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন তিনি। সবশেষে অবশ্য দেবলীনা লিখেছেন, অনেকেই হয়তো বলবেন, তাঁর পিতৃপরিচয় জেনেও কেন তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি! কিন্তু তাঁদের জন্য দেবলীনার উত্তর, সবসময়ই তিনি বাবার পরিচয় দেন না।
দেবলীনাকে নেটিজেনদের একাংশ মনে করিয়ে দিয়েছেন, সাইকেল বা গাড়ি, কোন কিছুই দেখভাল করেন না নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সমস্যাটা দেখা বা না দেখার নয়। তাঁকে ক্যাফেতে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি সাইকেল নিয়ে। সাইকেল রাখতে তেমন জায়গা লাগে না। কিন্তু দেবলীনার মতে, তাঁর বাবা দেবাশিস কুমার ( Debashish Kumar) কলকাতা পুরসভার পার্কিং-এর মেয়র পারিষদ। রাস্তায় পার্কিং-এর নিয়ম তিনি জানেন। দেবলীনা নিজের পোস্টে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ঋজু দে (Riju Dey)-কে ট্যাগ করেছিলেন। তবে এরপর আরেকটি পোস্ট করে তিনি জানান, ওই ক্যাফের মালিক তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।