ধারাবাহিক মানেই ইদানিং নায়ক-নায়িকার বিয়ে ও তাদের জীবনকে লিপ নিয়ে কয়েক বছর এগিয়ে সন্তানের মা-বাবা হওয়া। তবে শুধুমাত্র সন্তানের মা-বাবা নয়, ধারাবাহিক বেশিদিন চললে মাত্র একুশ-বাইশ বছর বয়সের নায়ক-নায়িকাদের ষাট-সত্তর বছর বয়সীর মেকআপ নিয়ে দাদু-দিদার চরিত্রে অভিনয় করতে হয়। লিপ নিয়েছে ‘খেলনাবাড়ি’-ও। সেই লিপ যেমন-তেমন লিপ নয়। একদম আঠারো বছর এগিয়ে গিয়েছে ‘খেলনাবাড়ি’-র কাহিনী।
মিতুলের কন্যা গুগলি বড় হয়ে গিয়েছে। অষ্টাদশী গুগলিকে কলেজে পৌঁছাতে গিয়ে মিতুল সম্মুখীন হয় আদর নামে একটি ছেলের। আদর সেই সময় মারপিট করছে। তা দেখে রেগে যায় মিতুল। ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে গেলেও মিতুলের মনের বয়স বাড়েনি। সে একই রয়েছে। মিতুলের চরিত্রে অভিনয় করছেন আরাত্রিকা মাইতি (Aratrika Maity)। বাস্তবে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী আরাত্রিকা ধারাবাহিকে দুই সন্তানের মা। মেয়ে পড়ে কলেছে। অপরদিকে আরাত্রিকা এখনও পেরোননি স্কুলের গন্ডি। এটি তাঁর দ্বিতীয় ধারাবাহিক। স্কুলে পড়া আরাত্রিকা পর্দায় কলেজে পড়া মেয়ের মা। তিনি জানালেন, কিছুটা হলেও এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কঠিন। তাঁর পর্দার ছেলে-মেয়েরা তাঁর থেকেও বয়সে বড়।
আরাত্রিকা জানালেন, ক্যামেরার সামনে মেকআপের মাধ্যমে বয়সের ফারাক পার্থক্য তৈরি করা গেলেও অভিনয়ের মাধ্যমেই আচরণ ফুটিয়ে তুলতে হয়। তবে আরাত্রিকার দাবি, তাঁকে প্রোমোতে দেখে অনেকেই পার্থক্য খুঁজে পাবেন না। অন্তত তিনি সেই চেষ্টাই করছেন। প্রায় হঠাৎই ‘খেলনাবাড়ি’র লিপের কথা জানতে পেরেছিলেন আরাত্রিকা নিজেও। তবে মায়ের চরিত্রে অভিনয় তিনি যথেষ্ট উপভোগ করছেন বলে জানান মিতুল।
চিত্রনাট্য অনুযায়ী, মিতুল মেয়ের মা।কিন্তু তার সদ্যোজাত পুত্রসন্তান হাসপাতাল থেকেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। মিতুল কি জানতে পারবে আদরের প্রকৃত পরিচয়?
View this post on Instagram