Hilsa Fish: মধ্যবিত্তের কপালে আদৌ ইলিশ জুটবে তো? কি বলছেন মৎস্যজীবী ব্যবসায়ীরা!
কথায় আছে, এ স্বাদের ভাগ হবে না, বর্ষাকালে এমন কথাটা বোধ হয় ইলিশ মাছের ক্ষেত্রেই একবার হলেও বলতে হয়। অনেকেই হয়তো ভাবছেন যে, এবারে ইলিশটা খেতেই হবে। বাজারে গেলেও অনেক সময় পকেট পারমিট করে না, কারণ ইলিশ মাছের এত দাম সে তো খাওয়াই যায়না। স্বাদে, গন্ধে অসাধারণ বড় ইলিশ কিনতে সকলেই পছন্দ করে, কিন্তু ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে একটা বড় অভিযোগ উঠে আসছে।
বর্ষাকাল প্রবেশ করলেও তেমনভাবে মুষলধারে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই, মৎস্যজীবীদের দেওয়ালে খুব কমই দেখা যাচ্ছে, ইলিশ এদিকে আমদানির অভাবে দীঘা সহ বাজারে সমস্ত বাজারে ইলিশের দাম বেশ চড়া দেখে দেড় কেজি ওজনের দাম প্রায় ২২০০ টাকা, ১ কেজি মাছের দাম প্রায় দেড় হাজার টাকা থেকে শুরু, ৫০০ গ্রাম মাছের দাম প্রায় বারোশো টাকা থেকে শুরু, যা শুনে রীতি মতন খালি হাতে বাজার থেকে ফিরতে হচ্ছে।
ইলিশের ডিম মেরে ফেলা হচ্ছে?
ইলিশের দাম যে এত চড়া যে প্রসঙ্গে দীঘা মোহনা ফিশ এন্ড ফিস ট্রেডার্স এর সভাপতি জানিয়েছেন, ইলিশের যোগান এবার খুবই কম হয়েছে। আসলে অনুকূল আবহাওয়া থাকলে তবেই মোহনার দিকে ইলিশ ছুটে আসে। দুর্যোগে জেরে সেটা হয়নি, যার পাশাপাশি মৎস্যজীবীরাও ঠিকমতো সমুদ্রে যেতে পারছে না। এছাড়াও অনেক ব্যবসায়ী আবার অভিযোগ করছেন যে, সমুদ্র উত্তাল হওয়া, সমুদ্রে দূষণ, ছোট ছোট ফাঁসের জাল ব্যবহার করা, ডিম্বানু নিধন করে দেওয়া, খোকা ইলিশ ধরে নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য অনেক সময় গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ বংশবিস্তার করতে পারছে না, যার ফলে ইলিশ ভালোভাবে উঠছেও না।
বড় অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরাঃ
এই আবহে দাঁড়িয়ে ভয়ংকর অভিযোগ দেখা যাচ্ছে, দিঘার মৎস্যজীবীদের মধ্যে এক ভয়ংকর অভিযোগ উঠে এসেছে। বর্ষার মরসুমের আগে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টন পর্যন্ত ইলিশ উঠে আসতো, কিন্তু এখন মিলছে মাত্র দুটন। ডিম যদি মেরে দেওয়া হয় তাহলে কিভাবে ইলিশ পাওয়া যাবে, আসলে যে জাল ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে একেবারে ছোট ইলিশ মেরে দেওয়া হচ্ছে, সেই জন্য ইলিশের যোগান অনেকটা কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।