সংসার চালাতে পরপুরুষের সঙ্গে কুকীর্তি গৃহবধূর, ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে ভরপুর এই বাংলা শর্টফিল্ম
করোনাকালে আপামর দর্শককুল হয়ে উঠেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর। করোনাকাল চলে গেলেও যায়নি সেই নির্ভরতা। পিছিয়ে ছিল না বাংলাও। তৈরি হয়েছিল একের পর এক ইউটিউব চ্যানেল। এই ইউটিউব চ্যানেলগুলির মধ্যে কয়েকটি শর্ট ফিল্ম তৈরি করে আপলোড করতে শুরু করে। তালিকায় কমেডি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সব ধরনের শর্ট ফিল্ম রয়েছে। 2020 সালের 31 শে মে করোনা অতিমারীর প্রথম লকডাউনের শুরুতেই ‘এমকে ফিল্ম 2017’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড হয়েছিল ‘চরিত্রহীন’ নামে একটি শর্ট ফিল্ম। তবে এই শর্ট ফিল্মটির সাথে কোনোভাবেই একই নামের বিখ্যাত উপন্যাসের যোগ নেই।
বর্তমানে ‘চরিত্রহীন’-এর ভিউ অতিক্রম করেছে দেড় কোটি। এই শর্ট ফিল্মে চিত্রনাট্যকার, নায়ক ও পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন রাজীব হালদার (Rajib Halder)। শর্ট ফিল্মটির এডিটও করেছেন তিনিই। রাজীবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সুস্মিতা (Susmita)। রয়েছেন তাপস মোদক (Tapas Modak)। শর্ট ফিল্মের শুরুতে নায়িকাকে দেখা যায় অর্ধনগ্ন হয়ে শাওয়ারের নিচে স্নান করতে। বোঝা যায়, মনোকষ্টে ভুগছে সে। শাওয়ারের নিচে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। তার স্বামী তাকে ডাকে একটি ফিল্ম দেখতে। সে জানায়, এই ফিল্মটি পতিতাদের জীবন নিয়ে তৈরি। নায়িকার স্বামী মনে করে, পতিতারা অনেক কষ্টে এই জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়।
কিন্তু মেয়েটির স্বামী কোনো কাজ করে না। মেয়েটিকে সংসার চালাতে অর্থ উপার্জন করতে হয়। কিন্তু একদিন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার নাম করে পতিতাপল্লীতে গিয়ে মেয়েটির স্বামী এক ভয়াবহ ঘটনার সম্মুখীন হয়। সে জানতে পারে, তার স্ত্রী যৌনকর্মীর কাজ করে অর্থ উপার্জন করে।
প্রথমে মেয়েটির স্বামী তাকে এই পেশায় আসার জন্য তিরস্কার করলেও পরে নিজের ভুল বুঝতে পারে।