Sarbojaya: সিঁদুরখেলার আগেই কি মুছে যাবে সিঁথির সিঁদুর? স্বামীকে বাঁচাতে পারবে ‘সর্বজয়া’!
‘সর্বজয়া’-র টিআরপি রেটিং শুরুর থেকেই ভালো। সিরিয়ালটির প্রোমো প্রথম দেখানো শুরু হলে অনেকেই ‘শ্রীময়ী’-র সাথে তুলনা করেছিলেন। ট্রোলড হতে হয়েছিল দেবশ্রী রায় (Debashree Ray)-কেও। কিন্তু ধীরে ধীরে ‘সর্বজয়া’ নিজেকে প্রমাণ করেছে। সর্বজয়ার সবচেয়ে কাছের বন্ধু তার স্বামী। কিন্তু এবার কি সে তাকে ছেড়ে চলে যাবে?
‘সর্বজয়া’-র সাম্প্রতিক প্রোমো কিছুটা হলেও সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সর্বজয়ার বাড়িতে হয়েছে দুর্গাপুজোর আয়োজন। সে নিজেই সমস্ত আয়োজন করেছে। বাড়িতে আনা হয়েছে একচালা দুর্গাপ্রতিমা। কনের মতো সেজে উঠেছে গোটা বাড়ি। ঢাকে পড়েছে অকালবোধনের কাঠি। বাঙালি বধূ সর্বজয়ার পরনে লাল পাড় সাদা শাড়ি, সঙ্গে সোনার গয়না, কপালে লাল টিপ। একমনে মায়ের আরতি করছে সর্বজয়া। সে জানে না, তার মাথার উপর সাক্ষাৎ যমদূতের মতো নেমে আসছে ভাঙা ঝাড়বাতি। আরতিতে মগ্ন স্ত্রীকে রক্ষা করতে ছুটে আসে সর্বজয়ার স্বামী। এক ধাক্কায় সর্বজয়াকে সরিয়ে দেয় সে। কিন্তু নিজেকে রক্ষা করতে পারে না। ঝাড়বাতি ভেঙে পড়ে তার মাথায়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। দশমীর সিঁদুরখেলার সময় কি মুছে যাবে সর্বজয়ার সিঁথির সিঁদুর? আপাতত এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সর্বজয়ার কিছু কিছু আচরণ সাধারণ মানুষের কাছে আধিক্য মনে হলেও কখনও কখনও গৃহিণীরা ছোট ছোট খুশিতেই আনন্দ খুঁজে নেন। নিখুঁত তালের বড়া বানানো আজও মেয়েদের আনন্দ দেয়। ঘুড়ি ওড়ানোতে তাঁরা খুঁজে পান তাঁদের শৈশব। কিন্তু হঠাৎই যখন জীবনসঙ্গীর উপর আঘাত আসে, সত্যিই কি সর্বজয়ার মতো গৃহিণীদের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার?
প্রকৃতপক্ষে মেয়েরা প্রথমে জীবনসঙ্গী হারিয়ে ভেঙে পড়লেও পরবর্তীকালে নিজেরাই ঘুরে দাঁড়ান। তাঁরা জানেন, তাঁরা কান্নাকাটি করে শুয়ে থাকলে হেঁশেলে হাঁড়ি চড়বে না। ভেসে যাবে সংসার। তাঁরা হয়ে ওঠেন সাক্ষাৎ দেবী দুর্গা। হয়তো সর্বজয়ার জীবনেও আসতে চলেছে এইরকম মোড় যখন সবাই তাকে দেখবে ‘শক্তিরূপেণ’ হিসাবে।
View this post on Instagram