Winter Special Skin Care: শীতে সুন্দর ত্বক পেতে চান? স্নানের জলে মিশিয়ে নিন এই পাঁচ উপাদান
শীতকালে ত্বক কিন্তু বেশ খসখসে হয়ে যায়। ত্বকের জন্য যদি উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার খুঁজে থাকেন, তাহলে কিন্তু এই মুহূর্তে স্নানের জলে এই পাঁচটি জিনিস মিশিয়ে ফেলুন। বিশ্বাস করবেন না, এত ভালো উপকার পাবেন যে মনে হবে বারবার এটি ব্যবহার করি। বাড়িতে থাকা কয়েকটা জিনিস দিয়ে কিন্তু অসাধারণ ত্বক সুন্দর করতে পারবেন তখন যাবে দুধের মতন পরিষ্কার নরম একেবারে শিশুদের মতন।
শীতকালে আমরা অনেকেই স্নান করতে চাই না কিংবা যা হোক যা হোক করে স্নান করে চলে আসে কিন্তু বিশ্বাস করুন শীতকালে যদি ভালোভাবে স্নান করতে পারেন তাহলে আপনার থেকে উজ্জ্বল ত্বক আর কারুর হবে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে যেটা করতে হবে বাড়িতে থাকা কয়েকটা উপকরণ নিয়ে নিতে হবে, আর কিভাবে করবেন চলন দেখেনি।
প্রথমে একটি বালতির মধ্যে গরম জল নিয়ে নিতে হবে। একটি পাতলা কাপড় নিতে হবে। তার মধ্যে তিন থেকে চার টেবিল চামচ ওটস নিয়ে নিতে হবে, নিয়ে নিতে হবে একটা পাতিলেবুর টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে, বেশ কয়েকটা সুগন্ধি গোলাপ ফুলের পাপড়ি এছাড়া এর মধ্যে নিয়ে নিতে হবে টুকরো করা একটা টমেটো। আর নিতে হবে এক টেবিল চামচ সুজি। প্রত্যেকটা উপকরণই কিন্তু আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ ভালো, কোনোটা ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে, কোনোটা ভীষণ ভালো স্ক্রাবিং এর কাজ করে।
এরপরে কাপড়ের মধ্যে নিয়ে একটা পুটলি তৈরি করতে হবে। একটা গার্ডার দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। তারপর স্নানের জলের মধ্যে অন্তত আধ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সেইখান থেকে জল নিয়ে সারা গা ভিজিয়ে ফেলতে হবে। তারপরে ওই পুটলিটা ভালো করে চেপে চেপে সারা গা, মুখ, গলা, পিঠ, পা সমস্ত জায়গাতে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে। দেখবেন এত ভালো স্ক্রাবার, এত ভালো ময়েশ্চারাইজার, এত ভালো লোশন আপনি কোন দোকানে কিনতে পাবেন না।
পরপর ৭ দিন এই হোম রেমেডিটি করে দেখুন। যাদের সামনে বিয়ে আছেন চাইছেন না, খুব একটা পার্লারে গিয়ে আর্টিফিশিয়াল কিছু করতে তাদের জন্য কিন্তু এটি অসাধারণ একটি হোম রেমেডি। কোন দিন ওটস দিলেন কোনদিন চাল হালকা গুঁড়ো করে দিতে পারেন। সামান্য আলু কুরে দিতে পারেন। একেক দিন একেকটা জিনিস ব্যবহার করবেন, তাহলেই দেখবেন কত সুন্দর হয়ে যাবে আপনার ত্বক।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।