বাড়িতে অন্তর্বাস না পরে থাকতে চান? নিশ্চিন্তে থাকুন, ব্রা না পরার রয়েছে অনেক উপকারিতা
করোনাভাইরাসের আবহে আমরা অনেক প্রিয় মানুষের প্রাণ চোখের সামনে চলে যেতে দেখেছি। অনেক কিছু হারিয়েছি। আমাদের জীবন থেকে জীবনযাত্রা পরিবর্তিত হয়েছে। বাসে ট্রামে করে বেরোনোর পরিবর্তে শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাসেস এবং অনলাইন মিটিং। বাড়ির বাচ্চা, স্বামী এবং নিজের টিফিন ব্যাগ গুছিয়ে সামনের দিকে দৌড় দেওয়ার পরিবর্তে ব্রেকফাস্ট করে বিছানায় বসে ক্লাস করা এবং মিটিং করাতেই এখন মানুষ বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকেই তো এই জীবনটা কে বেশ করছেন।
এত কিছু হারিয়ে যাওয়ার মধ্যেও মহিলাদের জীবন থেকে আরেকটি জিনিস হারিয়ে যেতে বসেছে। কি ভাবছেন লিপস্টিক? মাস্ক পরার জন্য ঠোঁট রাঙানোর আর প্রয়োজন হচ্ছেনা। সেটা তো একটা অবশ্যই একটা ব্যাপার কিন্তু আরেকটি বেশ কম্ফোর্টেবল ব্যাপার প্রতিটা মহিলাদের মধ্যেই চোখে পড়ছে যা হলো, অন্তর্বাস না পরা। এতেই মেয়েরা বেশি অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে প্রতিদিনের ওই টাইট ফিটিংস অন্তর্বাস পিঠের মধ্যে, বুকের ওপরে যেন খিমচে ধরে থাকে। সারা দিনের শেষে আসার পরে, ব্রা খোলার পর বোঝা যেত কেমন বীভৎস দাগ হয়ে গেছে গোটা শরীরে। সেই সব থেকে মুক্তি পেয়েছে নারী জগৎ।
তবে অনেকেই ভয় পাচ্ছেন এতে বুঝি তাদের সৌন্দর্য খানিকটা নষ্ট হতে বসেছে। কারণ অন্তর্বাস নিয়ে একটি মিথ আছে। অনেকেই মনে করেন অন্তর্বাস না পড়লে স্তন ঝুলে যায় এবং দেখতে খারাপ লাগে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদমই নয়, আপনি বাড়িতে থাকলে নিশ্চিন্তে অন্তর্বাস খুলে থাকতে পারেন।
ব্রা না পরার উপকারিতা
প্রথমত, আমরা অনেকেই জানি না কালো রঙের ব্রা শরীরের জন্য কতটা খারাপ বিশেষ করে। এই কালো রঙের ব্রা পরে কেউ যদি সূর্যালোকের সামনে যায়, তা থেকে স্তন ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ, স্তনের ত্বক ভালো রাখতে ব্রা না পরায় ভালো। সারাদিন ব্রা পরে থাকলে নোংরা জমে জমে স্তনের উপরের ত্বক অনেক বেশি নষ্ট হয়ে যায়।
তৃতীয়তঃ, রাত্রিবেলায় শোওয়ার সময় অবশ্যই ব্রা খুলে শোওয়া উচিত। এতে আপনার শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন অনেক বেশি ভালো হবে, রাতে ঘুম ভালো হবে।
চতুর্থত, গরমকালে ব্রা না পরা, স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী, গরমকালে মধ্যে বেশি টাইট ফিটিং ব্রা পরলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে, যা আপনার শরীরের জন্য একেবারেই ভালো না।
তাই এবার মুক্তবিহঙ্গ হতে অন্তর্বাস খুলে ফেলুন। এই জীবনযাত্রায় অন্তর্বাসকে একেবারে বাদ দিয়ে দিন। শুধুমাত্র বাইরে বেরোতে গেলে প্রয়োজনে পরতে পারেন।