Tourism: অল্প খরচে অল্প সময়ের মধ্যে বেরিয়ে আসুন ছবির মতো সুন্দর এই গ্রাম থেকে
নববর্ষব্যাপী পিঠে ব্যাগ গুছিয়ে টই টই করে ঘুরে বেড়ানো। কিন্তু হাতে যদি তেমন ছুটি না পান তাহলে মাত্র এক দিনের ছুটিতে কাছে পিঠে ঘুরে আসতে পারেন। একদিন ঘুরে এলেই দেখবেন, মন মেজাজ কতটা ভালো হয়ে যাবে, তাই আজকে আমাদের ডেস্টিনেশন শরৎচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত দেউলটি। হাওড়া থেকে লোকাল ট্রেনের সহজেই চলে যেতে পারেন দেউলটি। একদিনে দেউলটি যাওয়ার জন্য উপযুক্ত জায়গা কিন্তু চাইলে এখানে দু-একটা দিন থেকেও আসতে পারেন, থাকা খাওয়ার সমস্ত সুবন্দোবস্ত রয়েছে।
কলকাতা থেকে মাত্র ৬৩ কিলোমিটার দূরে অসাধারণ এই গ্রামে গিয়ে একটু মন প্রাণ খুলে অক্সিজেন নিতে পারবেন অক্সিজেন নেওয়ার যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আর সাত পাঁচ না ভেবে বেরিয়ে পড়ুন দেউলটির উদ্দেশ্যে। স্টেশন থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে গেলেই আপনি পৌঁছে যাবেন রূপনারায়ণের কূলে অবস্থিত কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পৈতৃক বসতভিটে থেকে।
ইচ্ছা হলে বছর ভিটে ঘুরে আসতে পারেন, দেখে আসতে পারেন শরৎচন্দ্রের ব্যবহৃত নানান রকম জিনিসপত্র। জীবনের শেষের কয়েকটা দিন কবি এখানেই কাটিয়েছিলেন। সামনেই রয়েছে রূপনারায়ণ। বর্ষাকালে এখানে গেলে রূপনারায়নের ভয়ংকর রূপ দেখতে পাবেন। তাই এখন অর্থাৎ শীতকালের জায়গা যাওয়ার জন্য আপনার জন্য একেবারে উপযুক্ত ডেস্টিনেশন।
যারা সাহিত্য ভালবাসেন তাদের জন্য জায়গাটি বেশ উপযুক্ত বা ভাবছেন কাছে, পিঠে কোথাও একটা ঘুরে আসতেই হবে। না হলে নতুন বছর শুরুটা ঠিক ভালো হবে না, তাদের জন্য তো দেউলটি সত্যিই ভীষণ ভালো জায়গা চারিদিকে পাখির কলকাকুলি প্রাকৃতিক পরিবেশ আপনার মন জুড়িয়ে যাবে এছাড়াও রূপনারয়নের কূলে চড়ুইভাতির আয়োজন করতে পারেন, সেটা হলে কিন্তু হবে নতুন বছরে এক্সট্রা পাওনা।
তবে শুধুমাত্র রূপনারায়ণের কূল আর শরৎচন্দ্রের বসত ভিটে নয়, রয়েছে অসাধারণ পোড়ামাটির কারুকার্য কারা রাধা এবং মদন গোপাল মন্দির। তাই আর দেরি না করে চটপট বাড়ির কচিকাঁচাদের নিয়ে যদি তাদেরকে একটুখানি সাহিত্যিকের বাড়ি ঘুরে দেখানোর ইচ্ছা জাগে তাহলে তো দেউলটি ঘুরেই আসতে পারেন, গাড়িতেও চলে যেতে পারেন, খুব বেশি দূরে হবেনা। তাই আর দেরি না করে নতুন বছরের প্রথম দিনটি হতেই পারে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত দিন।