রহস্যে ঘেরা আমাদের পৃথিবী। পৃথিবীর বাইরের মহাকাশও যথেষ্ট রহস্যজনক। গভীর কালো আকাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, গ্রহাণুপুঞ্জ নানা কিছু। আমাদের কাছে এই সমস্ত কিছুর গল্পই অনেকটা ওই ঠাকুরমার ঝুলি থেকে বের করা গল্পগাঁথা মনে হয়। কিন্তু কোন কিছুই গল্প নয়। মহাকাশে যা ঘটছে তার সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। প্রতিনিয়তই বৈজ্ঞানিকরা নানান রকম জিনিস আবিষ্কার করে চলেছেন। আমাদের গ্রহের মধ্যে প্লুটো একটি গ্রহ। প্লুটো ঠান্ডা গ্রহ নামেই পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে প্লুটো আস্তে আস্তে গরম হতে শুরু করেছে এমনটাই দাবি বৈজ্ঞানিকদের। সম্প্রতি নতুন গবেষণা থেকে আরেকটি বিষয়ও উঠে এসেছে যা হলো প্লুটোর জন্মের একদম প্রথম দিন থেকেই প্লুটোর ভিতর নাকি বিশাল মহাসাগর রয়েছে।
অতীতের গবেষণার তথ্য থেকে জানা যায় প্লুটো তৈরি হয়েছে ঠান্ডা এবং বরফ জমাট বেঁধে। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, কঠিন জমাট বাঁধা বরফের নিচে এক বিশাল বড় মহাসাগর বিরাজ করছে প্লুটোয়। প্লুটো আস্তে আস্তে গরম হচ্ছে এবং উষ্ণায়নের জন্য প্লুটোর বরফ গলছে। সম্প্রতি বৈজ্ঞানিকরা বলছেন, প্লুটো ঠান্ডা হওয়ার পাশাপাশি ক্রমাগত গরমও হতে শুরু করেছে। ভৌগোলিক তথ্য গুলিকে যদি পরপর সাজিয়ে দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে কত দ্রুত এবং ভয়ঙ্কর রূপে প্লুটোর পরিবর্তন হচ্ছে।
কতইনা অজানা রহস্য লুকিয়ে আছে মহাকাশের মধ্যে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কার হচ্ছে। আমরা অনেক সময় জানতেও পারি না। তবে পৃথিবী কে জানতে হলে যেমন পৃথিবীর মধ্যে ঘটতে থাকা ঘটনাগুলি আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন তেমনি মহাকাশের ঘটনাগুলো আমাদের অবগত থাকা দরকার। যে আকাশ আমাদেরকে সর্বদা এক রূপকথার জগতে নিয়ে যায় সেই আকাশ কিংবা মহাকাশ যে কোন রূপকথা নয়, তার মধ্যে প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকা ঘটনাগুলি একেবারে বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে সম্মত তা সর্বসাধারণের জানা খুবই প্রয়োজন।