গত ৪ঠা মে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীনা সেনার আগ্রাসন বৃদ্ধি এবং ১৫ই জুন গালওয়ান উপত্যকায় দুইদেশের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের পর ভারতীয় সেনার প্রয়োজন ছিল একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নজরদারী ড্রোনের। বিশেষ করে হেঁটে টহলদারির সময়, কারণ মাঝে মধ্যেই চীনের সেনার বাঁধার মুখে পড়তে হচ্ছিলো ভারতীয় জওয়ানদের।
এই পরিস্থিতিতে এবার প্রবল গতিসম্পন্ন, বিশ্বের সবচেয়ে হালকা এবং নিখুঁত নিশানা যুক্ত ড্রোন ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দিলো ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। জানা গিয়েছে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীন সেনার গতিবিধি লক্ষ্য রাখার জন্যই এই ড্রোনটি সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।
সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নজরদারি ড্রোনের এই সিরিজটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত’। ‘ভারত’ হাতে পাওয়ার পর প্যাংগং লেক, গালওয়ান উপত্যকা-সহ পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের কর্তৃত্ব অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ডিআরডিও-র চণ্ডীগড় ল্যাবরেটরিতে তৈরি এই ড্রোন এখনও অব্দি সবচেয়ে কম ওজনের।
শুধু কম ওজনই নয়, সাথে সাথে এটির বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে, যেমন –
* নজরদারি চালানোর সময় সরাসরি রিয়্যাল টাইম ভিডিও পাঠাবে রিসিভারে।
* সর্বোচ্চ ঠান্ডা পরিবেশেও নিখুঁত নজরদারি চালাতে পারে।
* কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে শত্রুপক্ষ ও মিত্রপক্ষকে আলাদা করতে পারবে।
* ঘন জঙ্গলের মধ্যে কেউ লুকিয়ে থাকলেও সহজেই খুঁজে বার করে ফেলতে পারবে।
* রেডারে তার উপস্থিতি ধরা পড়বে না।
এই বিষয়ে ডিআরডিও-র একজন আধিকারিক এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, “সম্প্রতি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চলমান বিবাদের জেরে পূর্ব লাদাখে নিখুঁত নজরদারির জন্য ভারতীয় সেনার এই রকম একটি ড্রোনের প্রয়োজন ছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই ডিআরডিও তাদের ‘ভারত’ নামের শক্তিশালী এই ড্রোনটি দিয়েছে।”