মুখে মেচেদার দাগ খুব সহজেই কিভাবে দূর করবেন
মুখে, গালের দুপাশে, চোখের নিচে কালচে ছোপ পড়লে মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কালচে ছোপ এর প্রবণতা অনেকটা বেড়ে যায়। কিন্তু রান্না ঘরে থাকা কয়েকটি সহজ উপাদানেই মিলতে পারে এর সুরাহা। জেনে নিন কি কি ঘরোয়া উপাদান অবলম্বন করলে মুখের কালো দাগ, পিগমেন্টেশন, মেচেদার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
১) আলুর রস মুখের কালো দাগ চোখের চারপাশের কালো ছাপ দূর করতে ভীষণ ভালো কাজ করে। দু-তিন টুকরো আলু মিক্সিতে ভালো করে বেটে নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ মধু, এক চামচ শশার রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে কালো দাগের ওপরে লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট রাখার পরে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। একটা বিষয় মাথায় রাখবেন মধু অনেকের ত্বকে সহ্য হয় না তারা মধুটা দেবেন না।
২) অ্যালোভেরা জেল মুখের ত্বকে জেল্লা আনতে ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। বাড়িতে থাকা গাছ থেকে যদি জেল বানাতে চান তাহলে একটি পাতা কেটে তার কাটা অংশটি একটি পাত্রের মধ্যে জলে ডুবিয়ে এক ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। ভেতর থেকে দেখবেন একটা হলুদ বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে আসবে। তারপর সেই পাতাটি মাঝ বরাবর কেটে নিয়ে মাঝখান থেকে জেলির মত অংশটি নিয়ে ভালো করে সারা মুখে মেখে ম্যাসাজ করুন। এ প্রসঙ্গে একটি কথা জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন, অনেকের টাটকা গাছের পাতার অ্যালোভেরা রস থেকে অ্যালার্জি বা কোনরকম চুলকানি হতে পারে, তখন তারা বাজারচলতি যেকোনো ভালো কোম্পানির অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন।
৩) মুখের কালো দাগ দূর করতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল এর জুড়ি মেলা ভার। যে কোন ওষুধের দোকান থেকে সহজেই ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে একটি ভিটামিন- ই ক্যাপসুল এর ভিতরের তরল অংশটির সঙ্গে এক চামচ গ্লিসারিন দিয়ে ভালো করে সারা মুখে ম্যাসাজ করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন। যাদের শুষ্ক ত্বক তারা সারারাত রেখে দিতে পারেন আর যাদের তৈলাক্ত ত্বক তারা এটি ব্যবহার করবেন না, বা কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন।
৪) মুখের কালো দাগ দূর করতে ব্যবহার করুন ভিটামিন সি। ভিটামিন-সি ট্যাবলেট যেকোন ওষুধের দোকানে গেলে সহজেই পাওয়া যাবে। একটি ভিটামিন সি ক্যাপসুলকে খুব ভালো করে গুঁড়ো করে তার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা নারকোল তেল মিশিয়ে সারারাত মুখের মধ্যে যেখানে যেখানে কালো দাগ হয়েছে সেখানে লাগিয়ে শুয়ে পড়ুন। পরের দিন সকাল বেলা ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিদিন নিয়ম মেনে এমন কাজ করতে পারলে মুখের ওপরে হওয়া কালো দাগ, পিগমেন্টেশন, মেচেদার দাগ সমস্ত দু সপ্তাহ – তিন সপ্তাহের মধ্যেই উধাও হয়ে যাবে। তবে এক্ষেত্রে শরীরের ভেতর থেকেও সুস্থ থাকা ভীষণ প্রয়োজন। থাইরয়েড কোলেস্টেরল, হাই প্রেসার, সুগার ইত্যাদি রোগ থাকলে, তার প্রভাব মুখের ত্বকের উপরেও পড়ে। সাথে সাথে করতে হবে সুষম আহার গ্রহণ। তাই শরীরের ভেতর এবং ওপর সব মিলিয়ে সুস্থ থাকলেই আপনি সুন্দর হয়ে উঠতে পারবেন।