Hairfall Solution: চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলুন পাঁচটি টিপস
মাথায় চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতেই একেবারে মুঠো মুঠো চুল উঠে যাচ্ছে? মনে হচ্ছে কিছুদিন পরে একেবারে একেবারে মাথায় টাক পড়ে যাবে? এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে। কবির কল্পনার সেই নাটোরের বনলতা সেন এখন হারিয়ে গেছে। কোথাও বিয়ে বাড়ি যাওয়া বা কোন নেমন্তন্ন বাড়ির যাওয়ার সময় একটা হাত খোঁপা করে নিলেই চুলের সাজ একেবারে কমপ্লিট হয়ে যেত কিন্তু এখন বর্তমানে হাত খোঁপা তো দূরের কথা মাথায় হাত দিলেই মনে হয়, কিছুদিন পরে মাথাটা একেবারে গড়ের মাঠ হয়ে যাবে। কথাগুলো শুনে হয়তো হাসি পাচ্ছে? কিন্তু অনেকের বুকের ভেতরটা ধুকপুক ধুকপুক করছে, সত্যিই যদি এমন হয়, তাহলে বাইরে মুখ দেখাবো কি করে? Hoophaap এর পাতায় দেওয়া পাঁচটি টিপস ফলো করুন –
১) নারকেলের দুধ –
নারকেলকে ভালো করে কুরিয়ে নিতে হবে। তারপর মিক্সেতে বেশ অনেকটা জল দিয়ে একটি নারকেলে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে সুতির কাপড়ে নারকেলের ওই পেস্ট ছেঁকে নিয়ে দুধ বার করে নিতে হবে।
ব্যবহারবিধি – এই দুধ তুলো করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগাতে পারেন, তারপর বেশ কিছুক্ষণ রেখে জলে ধুয়ে ফেলুন। অনেকের যদি মনে হয়, তো শ্যাম্পু করতে পারেন, কিন্তু শ্যাম্পু করার কোন প্রয়োজন নেই, চুল খুব ভালো করে সুন্দর এবং পরিষ্কার থাকবে।
২) ডিম –
ডিম ভালো করে ফাটিয়ে নিতে হবে, এই ডিম ভালো করে ফাটিয়ে নিয়ে তারপরে ডিমের সঙ্গে মেশিয়ে নিতে হবে। একটি পাতিলেবুর রস যাদের খুশকির সমস্যা আছে, তারাই মিশ্রণটি লাগাতে পারেন।
ব্যবহারবিধি – এই মিশ্রণটিকে ভালো করে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। লাগিয়ে অন্তত এক ঘন্টা রেখে দিতে পারেন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে দুদিন করলেই যথেষ্ট।
৩) টক দই –
টক দইকে খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। তারপর চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন। দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর থাকবে।
ব্যবহারবিধি – পরিষ্কার চুলে টক দইকে খুব ভালো করে লাগিয়ে নিন। অন্তত এক ঘন্টার মত রেখে দিন। যাদের চুল খুব রুক্ষ, শুষ্ক তারা টক দইয়ের সঙ্গে মেশাতে পারেন নারকেল তেল।
৪) কারি পাতা –
গাছ থেকে পরিষ্কার কারি পাতা তুলে এনে জলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন কারিপাতায় অনেক সময় নোংরা থাকে তা শুধু মাথায় লাগালে হিতে বিপরীত হতে পারে, নোংরা ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়ে মিক্সিতে দিয়ে সামান্য জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন।
ব্যবহারবিধি – কারিপাতাকে খুব ভালো করে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে অন্তত এক ঘন্টা রেখে দেন, তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। কারিপাতা চুলের জন্য ভীষণ উপকারী দরকার হলে পরপর ৭ দিন কারিপাতা ব্যবহার করতে পারেন।
৫) অ্যালোভেরা জেল –
একটি বড় আকারের যে অ্যালোভেরা গাছের পাতা ভালো করে কেটে নিতে হবে। গাছ থেকে তারপরে জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখতে হবে কাটা অংশ থেকে হলুদ বিষাক্ত জেল বেরিয়ে যাওয়ার পরেই পাতাটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
ব্যবহারবিধি – অ্যালোভেরা জেল খুব ভালো করে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত লাগালে আপনার চুল ভেতর থেকে মজবুত হবে, চুলের সমস্ত সমস্যা দূর হবে নিমেষের মধ্যে।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।