Lifestyle: বাচ্চার উচ্চতা নিয়ে চিন্তিত! বাড়িতেই বানিয়ে খাওয়ান এই খাবারগুলি, মিলবে ফল
“বলব, ‘তুমি ভারি দুষ্টু ছেলে’
যখন হব বাবার মতো বড়ো।” রবি ঠাকুরের ‘ছোট-বড়’ কবিতার সেই ছেলেটিও বড় হতে চেয়েছিল একদিন। আসলে এই দুনিয়ায় সবাই চায় বড় হতে। সে ব্যক্তিত্বেই হোক বা উচ্চতায়। ব্যক্তিত্ব বড় হলেও অনেক মানুষের উচ্চতার সঠিক বৃদ্ধি হয়না। তাই অল্প বয়স থেকে কোনো শিশুর বৃদ্ধি তুলনামূলক কম হলেই বাবা মায়ের কপালে ভাঁজ পড়ে। এই চিন্তায় তারা মগ্ন থাকেন যে কিভাবে শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধি হবে। এজন্য তারা ছুটে বেড়ান নানা জায়গায়। কিন্তু দাঁড়ান, দৌড়াবেন না। আপনার বাড়িতেই রয়েছে এমন কিছু টোটকা, যা দিয়ে অনায়াসে বৃদ্ধি পাবে আপনার শিশুর উচ্চতা। এর জন্য কোনো হেল্থ ড্রিঙ্ক বা কোনো ওষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই। ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানিয়ে খাওয়ান এসব খাবারদাবার।
(১) শাকসবজি: শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সবথেকে অপরিহার্য উপাদান হল শাকসবজি। কারণ নানা শাকসবজির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। পুষ্টিবিদদের মতে, একটি শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য যা প্রয়োজন, সিজনাল শাকসবজিতে তার সবকিছু রয়েছে। তবে অনেক শিশু শাকসবজি খেতে চায়না। সেক্ষেত্রে নানারকমভাবে, যেমন সবজি দিয়ে পকোড়া বা পাস্তা অথবা ম্যাগি দিয়ে শাকসবজি রান্না করে খাওয়াতে পারেন।
(২) ডিম: সমস্ত খাবারের থেকে ডিমে সবথেকে বেশি প্রোটিন রয়েছে। পুষ্টিবিদদের মতে, একটি ডিমে যে পরিমান প্রোটিন থাকে, একদিনে একটি শিশুর প্রয়োজনীয় প্রোটিনের থেকে তা অনেক বেশি। তাই শুধু সেদ্ধ ডিম আপনার শিশু না খেতে চাইলে ডিমের বাহারি পদ কিংবা অন্যান্য পদের সঙ্গে ডিম ব্যবহার করতে পারেন।
(৩) দুধ: প্রাচীনকাল থেকেই দুধকে সুষম খাদ্য বলা হয়। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম যেমন হাড় শক্ত করে, তেমনই দুধে রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাটের মতো উপাদান; যা শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে দুধে শিশুর অনীহা থাকলে ছানা বা অন্য দুগ্ধজাত কোনো পদ বাড়িতে বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।
(৪) কলা: কলার মধ্যেও রয়েছে নানান ভিটামিন এবং খানিজ উপাদান, যা শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির হারকে বাড়িয়ে তোলে। তাই রুটির সঙ্গে রোল করে কিংবা দুধের সঙ্গে শেক বানিয়ে কলা খাওয়াতে পারেন আপনার শিশুকে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ তথ্যভিত্তিক। শিশুর যেকোনো সমস্যায় শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।