whatsapp channel

Mimi Chakraborty: সন্তানের জন্মদিন পালন মিমির!

মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) তাঁর চারপেয়ে সন্তান চিকু (Chickoo)-কে হারিয়েছেন এক বছর আগে। মিমির আদরের সারমেয় চিকু তাঁর জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, মা কখনও ভুলতে পারেন না সন্তানকে।…

Avatar

Nilanjana Pande

Advertisements
Advertisements

মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) তাঁর চারপেয়ে সন্তান চিকু (Chickoo)-কে হারিয়েছেন এক বছর আগে। মিমির আদরের সারমেয় চিকু তাঁর জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, মা কখনও ভুলতে পারেন না সন্তানকে। সেলিব্রিটি হোন অথবা সাধারণ নারী, মা তো মা-ই। ফিরে এসেছে চিকুর জন্মদিন। পরম যত্নে চিকুর জন্মদিন পালন করলেন মিমি।

Advertisements

জন্মদিনের সকালে মিমি পৌঁছে গিয়েছিলেন চিকুর সমাধিতে। নিখিলবঙ্গ কল্যাণ সমিতিতে রয়েছে চিকুর সমাধি। সেইখানে সমাধি ফলকে চিকুর প্রতিকৃতি খোদাই করা রয়েছে। সাদা রঙের রজনীগন্ধার মালায় ফলকটি সাজিয়ে দিলেন সন্তানহারা মা মিমি। রজনীগন্ধার তোড়া, হলুদ গাঁদার পাপড়ি ও লাল রঙের গোলাপ ও মোমের আলোয় সাজানো হয়েছিল চিকুর সমাধি। একটি কারুকার্য করা মাটির থালায় চিকুর পছন্দের ফল, আইসক্রিম, ভাত, মাংস, টক দই সাজিয়ে সারমেয় পুত্রের উদ্দেশ্যে এদিন নিবেদন করেন মিমি। তাঁকে দেখে এগিয়ে এসেছিল চিকুর বন্ধুরাও। তাদের আদর করে আইসক্রিম খাইয়েছেন চিকুর মা। চিকুর বন্ধুদের তৃপ্তি ভরে খাওয়া চোখ ভরে দেখছিলেন তিনি। হয়তো খোঁজার চেষ্টা করছিলেন হারানো সন্তানকে।

Advertisements

কালো টি-শার্ট ও নীল ডেনিম পরেছিলেন মিমি। পায়ে ছিল গোলাপি রঙের জুতো। মেকআপ ও হেয়ারস্টাইলের বাহুল্য ছিল না। সাধারণ ভাবেই চিকুর সমাধিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মিমি। চিকুর জন্মদিনে ওই স্থানটি ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে। কিন্তু একসময় আদরের চিকু ও তার বন্ধুদের ছেড়ে চলে যেতেই হল তাঁকে। বাড়িতে অপেক্ষায় রয়েছে মিমির আরও কয়েকজন সারমেয় সন্তান। চিকুর জন্মদিনের ভিডিও শেয়ার করে মিমির একটাই অনুরোধ, দয়া করে পোষ্য বৃদ্ধ হলে অথবা অসুস্থ হলে তাদের যেন রাস্তায় ফেলে না দেওয়া হয়। কারণ তারা সন্তানসম। সকলকে চারপেয়ে সন্তানদের যত্ন নিতে অনুরোধ করেছেন মিমি।

Advertisements

কয়েক বছর আগে ল্যাব্রাডর প্রজাতির সারমেয় চিকু আক্রান্ত হয়েছিল ক্যান্সারে। কলকাতার চিকিৎসকদের কাছ থেকে ভরসা না পেয়ে মিমি তাকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসা চলার পর একটু সুস্থ হয়ে কলকাতায় ফিরে আসে চিকু। এরপর থেকে সে দ্রুত সেরে উঠছিল। কিন্তু বাদ সাধে নিয়তি। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেয় চিকু। তাঁর অকালপ্রয়াণে মানসিক ভাবে যথেষ্ট ভেঙে পড়েছিলেন মিমি। পরবর্তীকালে তাঁর অনেক সময় লেগেছিল নিজেকে সামলাতে।

Advertisements

whatsapp logo
Advertisements