বহু টানাপোড়েনের পর অবশেষে বাংলাদেশের মাটিতে পা দিতে পেরেছিলেন নোরা ফতেহি (Nora Fatehi)। কিন্তু তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, বিতর্ক যেন তাঁর পিছু ছাড়ছে না। শর্তসাপেক্ষে, নোরাকে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। সেই শর্ত মেনে শুক্রবার, 18 ই নভেম্বর বাংলাদেশে ‘উওম্যান লিডারশিপ কর্পোরেশন’ আয়োজিত ‘গ্লোবাল অ্যাচিভার অ্যাওয়ার্ড 2022’-তে অংশগ্রহণ করেছিলেন নোরা। এই অনুষ্ঠানের মঞ্চে শুধুমাত্র পুরস্কার দেওয়ার জন্য নোরা নিয়েছেন বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পনের লক্ষ টাকা। ভারতীয় মূদ্রায় এই অঙ্কের পরিমাণ এগারো লক্ষ আশি হাজার টাকা। এছাড়াও তাঁর যাতায়াত ও হোটেলের ভাড়া বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নোরা ঢাকায় আসার আগেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অর্থাৎ এনবিআর-এর তরফে তাঁর পারিশ্রমিকের উপর ত্রিশ শতাংশ কর ও পঁচিশ শতাংশ ভ্যাট চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল আয়োজকদের। আয়োজকরা ইতিমধ্যেই ত্রিশ শতাংশ কর অগ্রিম জমা করেছেন এনবিআর-এ। নোরাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বাংলাদেশে এই অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো ইভেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি। এমনকি তাঁকে ডকুমেন্টারিতে অংশগ্রহণের প্রমাণও দেখাতে হবে। প্রসঙ্গত, ‘উওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ তথ্যচিত্রে নোরাকে দেখা গিয়েছে। এছাড়াও এদিন মঞ্চে পুরস্কার তুলে দিলেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে নাচেননি তিনি। তবে সকলের অনুরোধে কয়েক সেকেন্ডের জন্য অন্য শিল্পীদের নাচের সাথে তাল মিলিয়েছিলেন নোরা।
সব মিলিয়ে মাত্র চল্লিশ মিনিট অনুষ্ঠানের মঞ্চে ছিলেন নোরা। কিন্তু তার বিনিময়ে পনের লক্ষ টাকার মতো মোটা অঙ্ক অনেকেই মানতে পারছেন না। তাঁদের মতে, এই ঘটনা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। উপরন্তু ঢাকার ওই অনুষ্ঠানের টিকিটের দাম ছিল পনের হাজার। এত দামি টিকিট কাটার পরেও নোরার নাচ দেখতে না পেয়ে হতাশ দর্শকদের একাংশ।
আয়োজকদের তরফে ইশরাত জাহান মারিয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের আরোপিত শর্তের কারণেই ডান্স পারফরম্যান্স করেননি নোরা।
View this post on Instagram