শুক্রবার, মুম্বইয়ের গোরেগাঁও এলাকার একটি নামী পাঁচতারা হোটেল থেকে মধুচক্রের অভিযোগে গ্রেফতার করা হলো এক হাই প্রোফাইল বলিউড অভিনেত্রীকে। বহুদিন ধরেই মুম্বই পুলিশের কাছে অভিযোগ ছিল, ওই হোটেলে যৌন ব্যবসা চালানোর। এদিন মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা আচমকা অভিযান চালান। তাঁরা গ্রাহকের পরিচয় দিয়ে ওই হোটেলে ঢুকে মধুচক্রের মালিকের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর হঠাৎ ক্রাইম ব্রাঞ্চের ‘রেইড’ শুরু হয় ও বলিউড অভিনেত্রী সহ তিন মহিলাকে আটক করা হয় ।
ওই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ফিল্ম ও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির উঠতি অভিনেত্রীদের ওই মধুচক্রে সামিল করার অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির আওতায় দেহব্যবসার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই বলিউড অভিনেত্রী ও মধুচক্রের মালিককে জেরা করে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা। ওই হোটেলে বলিউডের এক আন্তর্জাতিক মানের বেলিডান্সার ও মুম্বই টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির দুই অভিনেত্রীর সঙ্গে দেহব্যবসা চালানোর জন্য 10 লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল। এর ফলে প্রশ্ন উঠছে যে,তাহলে কি মধুচক্রের তথাকথিত মালিকের আড়ালে রয়েছে বলিউডের বিখ্যাত কিছু নাম! এই মামলার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে মুম্বই পুলিশের একটি বিশেষ টিম।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রি এখন সরগরম হয়ে উঠেছে মাদকচক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য। বেশ কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীকে শমন পাঠানো হয়েছে। মাদকচক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে সারা আলি খান ও শ্রদ্ধা কাপুরের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর উপর যুক্ত হলো দেহব্যবসার অভিযোগ। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কোলকাতার টালিগঞ্জ এলাকার একটি নামী স্পা থেকে মধুচক্র চালানোর অভিযোগে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও মহিলাকে গ্রেফতার করে কোলকাতা পুলিশ। এইসময় কোলকাতা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির এক নামী অভিনেতা সৌগত ব্যানার্জিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। সৌগত ওই মধুচক্রে ক্রেতা হিসাবে গিয়েছিলেন। ওই মধুচক্র থেকে নারী পাচারকারী চক্রের হদিস মিলেছে।