১২ দিন হল চলে গেছে ঐন্দ্রিলা (Aindrila Sharma)। নশ্বর এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ২৪ বছরের মেয়েটি। এই অকালমৃত্যু যেমন মেনে নিতে পারছেন না তার পরিবার, তেমনই গোটা বাংলা আজও ঐন্দ্রিলার ওই মিষ্টি হাঁসিকে সাদাকালো ফ্রেমে বন্দি রাখতে চোখের জল ফেলে। যেন সকলের কাছে নিজের ঘরের মেয়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে।
প্রিয় ঐন্দ্রিলার স্মৃতিতে একদিকে তার নানা মুহূর্তের ছবি ভিডিওতে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল ভরিয়ে দিয়েছেন তার দিদি ঐশ্বর্য শর্মা। বোনের সঙ্গে ছোটবেলার স্মৃতিঘেরা ছবি রেখেছেন নিজের প্রোফাইল পিকচারে। কভার ফটোতেও দৃশ্যমান দুই বোনের আনন্দদায়ক এক স্বর্ণালী মুহূর্ত। অন্যদিকে, ঐন্দ্রিলার এই আকস্মিক মহাপ্রস্থান যেন এখনো মেনে নিতে পারেননি তার মা শিখা শর্মা। তবে তার বুক ফেটে যাচ্ছে ঐন্দ্রিলার কাছের বন্ধু সব্যসাচীকে (Sabyasachi Choudhury) দেখে। তার নির্বাক মুখটা দেখে যেন শিখাদেবী ভেঙে পড়ছেন আরো। তাই কদিন আগেই নিজের ফেসবুকে ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন, ‘আমার সব্যর ঐন্দ্রিলা’।
এককথায় প্রিয় ঐন্দ্রিলাকে হারিয়ে যেতে দিতে চাননা কেউই। তাই ঐন্দ্রিলার স্মৃতির উদ্দেশ্যে বহরমপুরে হল এক বিশেষ আয়োজন। ঐন্দ্রিলা নেই তাতে কি হয়েছে, তার পরোপকারী চিন্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে আয়োজন হল একটি স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের। প্রয়াত অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ অনেকেই স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন এই শিবিরে এসে। আর এলাকার সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন এই উদ্যোগকে।
ঐন্দ্রিলার মা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ঐন্দ্রিলা ও সব্যসাচী দুজনেই অন্যের বিপদে ছুটে যেতেন। লকডাউনে তিনি বলেন, ‘ঐন্দ্রিলা সব্যসাচী একসঙ্গে ছুটে যেতেন সবার বিপদে। এমনকি একবার নাকি শীতে একজনের কষ্ট দেখে মায়ের প্রিয় শালটা নিয়ে গিয়ে তার গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাতে মা রাগ করায় বলেছিলেন, ‘কী হয়েছে তাতে? আর একটা কিনে নাও’। এমনই ছিলেন ঐন্দ্রিলা, আর এমনই থাকবেন আজ থেকে শতবর্ষ পরেও।
View this post on Instagram