Aindrila Sharma: চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে, ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ঐন্দ্রিলার মা
অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) মৃত্যু যেন নাড়া দিয়ে গেছে গোটা বাংলা প্রজন্মকে। মাত্র ২৪ বছর বয়সে মারণ রোগ ক্যানসার এভাবে প্রাণ কেড়ে নিতে পারে? এই বিষয়টি ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা উদ্বেগ। তবে ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর ১৩ দিন পর ঐন্দ্রিলার মৃত্যুকে ঘিরে চিকিৎসকদের দিকে আঙুল তুললেন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা। হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসককে উল্লেখ করে শিখা দেবী বললেন, “ওই চিকিৎসকের একটা সিদ্ধান্ত আমার মেয়েটাকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিল”। কিসের প্রেক্ষিতে এই গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ আনলেন অভিনেত্রীর মা?
২০ দিনের লড়াই শেষে গত ২০ ই নভেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। এর আগে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে হয় অস্ত্রোপচারও। কারণ অনেক আগে থেকেই ঐন্দ্রিলার শরীরে বাসা বেঁধেছিল ক্যানসারের মতো মারণ রোগ। তবে মেয়ের মৃত্যুর কারণ হিসেবে এক মহিলা চিকিৎসকের সিদ্ধান্তের দিকে আঙুল তুললেন অভিনেত্রীর মা। ঐন্দ্রিলার এক স্মরণসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, “আমার মেয়েকে বাঁচানো যেত। শুধুমাত্র একজন চিকিৎসকের জন্য সেটা সম্ভব হল না। উনি দায়িত্ব নিয়ে আমার মেয়েকে ডিপ কোমায় পাঠিয়ে দিলেন।” শিখা দেবী আরো অভিযোগ করেন, “ওই হাসপাতালের বাকি স্টাফরা ভালো। নার্সিং স্টাফ সত্যিই খুব ভালো। সকলে ঐন্দ্রিলার যত্ন নিয়েছিল। ধীরে ধীরে ওর জ্ঞান ফেরে। কিন্তু, ওই একজন সব তছনছ করে দিলেন।”
এছাড়াও এদিন ঐন্দ্রিলার মা বলেন, “ওইদিন আমার পাশে শুয়ে ছিল মেয়েটা। ১০ মিনিটের মধ্যে সব শেষ হয়ে গেল। হাত, পা নাড়াতে পারছিল না। ব্রেন স্ট্রোক। সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সার্জারি হয়েছিল। ডা. মল্লিক সাফল্যের সঙ্গে ওই অপারেশন করেন। অমায়িক মানুষ উনি। আমাদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু, একজন আমার মেয়েটাকে বাঁচতে দিল না।” তিনি আরো বলেন, “আমি সবসময় এই কথাটা বলব। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমার মেয়ে বাঁচত। ওর হার্ট খুব স্ট্রং ছিল। লিভার, ফুসফুস সব ভালো ছিল। দু’ বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলেই মানুষ মারা যায়। সেই জায়গায় ১০ বারের ধকল নিয়েছিল ও। সঠিক চিকিৎসা হলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হত না। আর হলেও রিভাইব করত ও।”
ঐন্দ্রিলার এই অকাল প্রয়ান মেনে নিতে পারেননি কেউই। তার পরিবার এখনো তার স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছেন আষ্টেপৃষ্ঠে। এদিকে বন্ধু সব্যসাচীও (Sabyasachi Choudhury) নির্বাসনের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন নিজেকে। সবার থেকে দূরে গিয়েও যেন সকলকে এখনো জড়িয়ে আছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা।