সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee) বোধ হয় বিতর্ক তৈরি করে জনপ্রিয় হতে ভালোবাসেন। জি বাংলার ‘রান্নাঘর’-এর সঞ্চালিকার এই রূপ হয়তো আগে অনেকেই দেখেননি। শোয়ে তাঁকে দেখে মনেও হয় না, সুদীপা এতটা খারাপ ব্যবহার করতে পারেন অথবা টিজ করতে পারেন। মঙ্গলবার, 20 শে ডিসেম্বরের সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির ছাদে তাঁর কালেকশনের শাড়ি নিয়ে ফেসবুক লাইভ করতে বসেছিলেন সুদীপা। সেই লাইভে তাঁর রূপ দেখে দর্শকদের একাংশ মুহূর্তেই লাইভ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
লাইভের প্রথমেই সুদীপা বলেন, তাঁর লাইভ শুরু করার কথা ছিল বিকাল সাড়ে তিনটে থেকে। কিন্তু তার পরিবর্তে সন্ধ্যার মুখে লাইভ করতে বসেছেন তিনি। এরপরেই তাঁর দোকানের কর্মচারীদের টিজ করে সুদীপা বলেন তাঁরা ভীষণ দায়িত্বশীল। এই কারণে লাইভ করতে দেরি হল। উপরন্তু তিনি নিজেও ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বলে জানান সুদীপা। এরপর লাইভ করতে করতে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তিনি শুরু করেন আলো নিয়ে অভিযোগ। লাইভে সুদীপার মুখে যথেষ্ট আলো পড়লেও তাঁর মনে হচ্ছিল তা ঠিক নয়। তিনি আরও আলো চাইছিলেন। এরপর তিনি আলোর পজিশন নিয়ে বলেন, এভাবে কখনও আলো করতে দেখেননি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল আজান।
সুদীপা বলেন, চারপাশে মাইক্রোফোনে লাউড স্পিকারে চেঁচামেচি হচ্ছে, তাই তাঁর কথা আদৌ শোনা যাবে কিনা, তা জানেন না তিনি। এরপর সুদীপা তাঁর কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করেন, এরা কতক্ষণ চেঁচাবে! কর্মচারী তাঁর কথায় হেসে ফেললে সুদীপা বলেন, তিনি মজা করছেন না। তিনি আজানের সঠিক সময় জানতে চাইলে কর্মচারী ভুল করে বলেন, ছ’টা বোধ হয়। সুদীপা বলেন, ছ’টা বাজে না। তৎক্ষণাৎ ওই কর্মচারী ভুল শুধরে নিয়ে বলেন, পাঁচটা বাজে। তিনি জানান, পাঁচটা পনের অবধি হয়তো আজান চলবে। সুদীপা তাঁকে বলেন সময়টা মনে রাখতে। এই সময় তিনি আর কোনোদিন লাইভ করবেন না বলেও জানান।
এরপর সুদীপা বলেন, কোনোদিন তাঁর কর্মচারী ছ’টাকে সাতটা বলবেন। এর মধ্যেই শাড়ি নিয়ে ঘটে আরেকটি ঘটনা। ওই কর্মচারী নেপথ্য থেকে সুদীপাকে শাড়ি এগিয়ে দিচ্ছিলেন। সুদীপা বিরক্ত হয়ে বলেন, তিনি অত দূর থেকে শাড়ি না এগিয়ে দিয়ে কাছে এসে বসুন। এই ঘটনায় নেটিজেনদের একাংশ বিব্রত হয়ে সুদীপাকে বলেন, তাঁর কর্মচারীকে তিনি অযথা অপমান করেন। সুদীপা উত্তর দেন, কর্মচারীদের জন্য তিনি সঠিক সময়ে লাইভে বসতে পারেননি। তাই স্পষ্ট কথা বলেছেন। তাঁর কর্মচারীদের ডেকে নেটিজেনদের জিজ্ঞাসা করা উচিত তাঁরা আদৌ অপমানিত বোধ করছেন কিনা! সুদীপা জানান, তিনি নাটক করতে পারেন না, স্বচ্ছ থাকতে পছন্দ করেন। এই কারণে তিনি সমালোচনার উর্ধ্বে নন। সুদীপা সত্যিই নাটক করতে পছন্দ করেন না? আজানের সময় কিন্তু তাঁর কথা লাইভে সকলেই শুনতে পাচ্ছিলেন। তাহলে আজানকে ‘চেঁচানো’ বলার ঘটনা কি নাটক করে নিজের লাইভকে অযথা প্রাধান্য দেওয়া নয়?