whatsapp channel

Aindrila Sharma: প্রয়াত ঐন্দ্রিলার এই শেষ ইচ্ছেটি পূরণ করতে চান তার মা

তারপর কেটে গেছে একটা মাস। মেয়েটা বাড়ি ফেরার আর নাম করেনি। বাড়িময় তার স্মৃতির টাটকা ধ্বংসাবশেষ। এখনো যেন কেউ মেনে নিতে পারেনি হাসিখুশি মায়াভরা ওই মুখ। চোখের জলে আজও করুণ…

Debaprasad Mukherjee

Debaprasad Mukherjee

Advertisements
Advertisements

তারপর কেটে গেছে একটা মাস। মেয়েটা বাড়ি ফেরার আর নাম করেনি। বাড়িময় তার স্মৃতির টাটকা ধ্বংসাবশেষ। এখনো যেন কেউ মেনে নিতে পারেনি হাসিখুশি মায়াভরা ওই মুখ। চোখের জলে আজও করুণ প্রহর গোনে তার মা। ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) মৃত্যুর একটা মাস পরেও এই ছবিটা বদলে যায়নি তার বাড়িতে। সকলকে ধীরে ধীরে কাজে ফিরতে হলেও কিছুতেই যেন মন নেই কারো। সবার চোখে এখনো একটাই আশার আলো জ্বলে- ওই বুঝি টোকা পড়ল দরজায়, ওই বুঝি বাড়ি ফিরে মিষ্টি বলে উঠল, ‘মা আমি ফিরে এসেছি’। কিন্তু তা যে আর হবার নয়, সেই চিরন্তন সত্য যেন আজ কঠিন বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে ঐন্দ্রিলার পরিবারে।

Advertisements

বর্তমানে শীতের দুপুরে খাঁ খাঁ করছে ঐন্দ্রিলার কুঁদঘাটের ফ্ল্যাট। সকলেই ফিরে গেছেন নিজের নিজের কাজে। বাবাকে ফিরতে হয়েছে ডাক্তারি পেশায়, দিদিকেও ফিরতে হয়েছে কাজে, মা’ও ফিরে গেছেন বহরমপুরের বাড়িতে, ফ্ল্যাটের নীচে আর ভিড় নেই। কিন্তু এসবের মাঝেও গলা বুজে আসছে ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মার (Sikha Sharma)। যেন মেয়ের প্রতিটা মুহূর্ত আজো জীবন্ত তার চোখে। তাই নার্সিংহোমে ফিরেও বেশিক্ষন কাজ করতে পারেন না তিনি। তিনি বলছেন, “নার্সিংহোম যাই। ওখানেও বেশিক্ষণ বসতে পারি না। কী নিয়ে থাকব আমি?”। শিখাদেবীর এখন বেঁচে থাকার রসদ হল ঘরময় ঐন্দ্রিলার শাড়ি, জামা, জুতো- এসবই। তবে তিনি ঐন্দ্রিলার একটি শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে চান। কি সেই শেষ ইচ্ছে? নিজের মুখে সেকথা বললেন শিখাদেবী।

Advertisements

মেয়ের স্মৃতি আঁকড়ে এখন দিন কাটছে শিখা শর্মার। আর এর মাঝেই মেয়ের একটি ইচ্ছের কথা মনে পড়েছে তার। যেটি পূরণ করতে চান তিনি। শিখা দেবী জানিয়েছেন যে একদিন ঐন্দ্রিলা তাকে ফোন করে বলেছিল, ‘মা অনেক শাড়ি হয়ে গিয়েছে। একটা ওয়ার্ডড্রোব লাগবে। তুমি এসে করে দিও।’। আর সেই ওয়ার্ডড্রোব বানিয়ে মেয়ের স্মৃতিগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে চান শিখা শর্মা। তিনি আরো জানান যে ঐন্দ্রিলার নাকি জিনিস কেনার শখ ছিল ভীষণভাবে। আর সেই জিনিস গুছিয়ে রাখতেও পছন্দ করতেন ঐন্দ্রিলা। তাই হয়তো মায়ের কাছে এই আবদার করেছিল মেয়ে। তাই মেয়ের এই শেষ আবদার পূরণ করতে চান তার মা।

Advertisements

প্রসঙ্গত, ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর থেকেই চোখের জল শুকিয়ে উঠতে পারেননি শিখাদেবী। মেয়ের নানা জিনিস, ছবিতে বন্দি মুহূর্ত নিয়েই দিন কাটে তার। তাই এসবের মাঝে মেয়ের শেষ ইচ্ছেটুকু পূরণ করতে চান তিনি।

Advertisements

whatsapp logo
Advertisements
Debaprasad Mukherjee
Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা