আপনার ঘরের শোভা বাড়াতে ব্যবহার করুন ইনডোর প্ল্যান্ট, রইল পদ্ধতি
নাসার বিজ্ঞানীরা বায়ু দূষণ রোধ করতে পারে এমন কতগুলি গাছের লিস্ট দিয়েছিলেন। যে গাছগুলি ঘরের মধ্যের বাতাসকে পরিশোধন করে। যাদের বাড়িতে তেমন রোদ আসে না, বা প্রতিদিন গাছের যত্ন করার সময় পাননা অথচ গাছ লাগানোর শখ, তারা খুব সহজেই বাড়ি সাজানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন এই তিনটি ইনডোর প্ল্যান্ট।
১) মানি প্ল্যান্ট
ঘর সাজানোর জন্য এই গাছটি ভীষণ ভালো। চিনামাটির কোন কাঁচের পাত্রে অথবা মাটির পাত্রে টেবিলের উপরে কিংবা ঘরের কোনায় অনায়াসে রাখতে পারেন মানি প্ল্যান্ট। প্রথমে একটি সুন্দর দিখতে টব বাছাই করতে পারেন। কোকো পিট, জৈব সার, এবং বাগানের মাটি দিয়ে ভালো করে ঝুরুঝুরু করে মাটি প্রস্তুত করতে হবে। কতগুলি গাছকে একসঙ্গে বেঁধে নিয়ে মাটির মধ্যে প্রতিস্থাপন করে দিন। ব্যস, তাহলেই সুন্দর করে বেড়ে উঠবে আপনার ‘মানি প্ল্যান্ট’।
২) রাবার প্ল্যান্ট
এই গাছটি ঘরকে পরিশুদ্ধ করতে ভীষণ সাহায্য করে। বড় বড় পাতায় ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। ড্রইংরুমের সোফার পাশে কিংবা বেড রুমে বিছানার পাশে সুন্দর করে প্রতিস্থাপন করতে পারেন এই গাছ। এর জন্য একটু বড় আকারের টব লাগবে। মাটি তৈরি করতে হবে কোকোপিট, বাগানের মাটি এবং সামান্য জৈব সার দিয়ে। এদেরকে ঘরের ভেতরেই রাখা ভালো। এরা ছায়া পছন্দ করে। মাটির গোড়া শুকিয়ে গেলে তবেই জল দেবেন।
৩) পিস লিলি
পিস লিলিও ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে অসাধারণ গাছ। গাছের মধ্যে খুব সুন্দর সাদা রঙের ফুল ফোটে। যদিও ফুলের সময় মার্চ থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। এটি ছায়া খুব পছন্দ করে। আর যতক্ষণ না মাটির গোড়া শুকিয়ে যাবে এবং গাছে ঝিমিয়ে পড়বে ততক্ষণ গাছে জল দেবেন না। মাটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন কোকোপিট, জৈব সার এবং নদীর বালি মাটি। ঝুরঝুরে মাটি প্রস্তুত করতে হবে।
উপরের তিনটি গাছেরই খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। তবে বছরে দুবার এতে সার প্রয়োগ করতে পারেন। গোবর সার এবং সরষের খোল পচা সার ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে গাছের গোড়া থেকে একটু দূরে চারিদিকে দিয়ে দিন। তাই ঘর সাজাতে এবার কোনরকম কৃত্রিম জিনিস নয় হাতে তুলে নিন গাছকে। আর সপ্তাহে অন্তত একবার কোন ভিজে কাপড় দিয়ে গাছের পাতাগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে দিন।