Hair Care Tips: সামনেই বিয়ে? মাত্র তিন সপ্তাহে চুল করে তুলুন ঘন-কালো, জেনে নিন পদ্ধতি
সামনেই বিয়ে? কি করবেন বুঝতে পারছেন না? চুল নিয়ে একেবারে চুলোচুলি করার মতন অবস্থা। কিন্তু ও তার দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় দেখে ফেলুন মাত্র এক মাসের মধ্যে কি করে সুন্দর চুল করবেন? কি করে খুশকি দূর করবেন চুলের। খুশকি কমানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি, কিন্তু আপনি কি জানেন? ঘরে থাকা মাত্র কয়েকটি উপাদান আপনার চুল ভালো করতে সাহায্য করে।
এই আদা পেঁয়াজ এর রস কিন্তু আপনার চুলকে ভীষণ সুন্দর করবে, আমরা ছোটবেলা থেকেই জানি, পেঁয়াজের রস চুলের জন্য ভীষণ ভালো, কিন্তু আদার রস যে এতটা উপকারী, তা কিন্তু একেবারেই অজানা। আমি শুধু আদায় নয় চুলের জন্য উপযুক্ত উপাদান পেঁয়াজ, টক দই, বিট নানান রকম জিনিস তাই আর দেরি না করে দেখে ফেলুন ।
১) আদা, নারকেল তেল – আদার রসের সঙ্গে সম পরিমাণ নারকেল তেল খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর আপনার মাথার স্ক্যাল্পে খুব ভালো করে লাগিয়ে ফেলুন, এবং বেশ খানিকক্ষণ রাখার পরে, তারপরে কোন বেবি শ্যাম্পু বা মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) আদা, লেবুর রস – একটি পাত্রের মধ্যে দুই টেবিল-চামচ আদার রস এবং এক টেবিল চামচ লেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি তুলোর মধ্যে ভিজিয়ে ভিজিয়ে গোটা মাথায় লাগিয়ে দিন। যদি লাগে, তাহলে আবারও দুই টেবিল চামচ আদা, রসুন ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস যোগ করতে পারেন।
৩) পেঁয়াজের রস, গোলাপ জল – যদি ফ্রেশ গোলাপের পাঁপড়ি দিয়ে গোলাপ জল তৈরি করতে পারেন, তাহলে এই জলের সঙ্গে সমপরিমাণ আদার রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। আর এই সপ্তাহে দুদিন করতে পারেন, তাহলে চুল হবে ভীষণ সুন্দর।
৪) আদা এবং পেঁয়াজের রস – সমপরিমাণে আদার রস এবং পেঁয়াজের রস কে খুব ভালো করে মিশিয়ে ফেলুন। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় গোড়ায় খুব ভালো করে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন করুন, দেখবেন চুল একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
৫) বিট, লেবুর রস, টক দই – প্রত্যেকটি উপকরণকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর তুলো করে করে স্কাল্পের মধ্যে ভালো করে লাগিয়ে অন্তত আধ ঘণ্টা রেখে, তার পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পারলে সামান্য শ্যাম্পু করে ফেলবেন, সপ্তাহে দু দিন করুন।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।