সেলিব্রিটি মানুষদের জীবনধারা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল থাকে বরাবরই। কেমন হয় তাদের সারাদিনের প্রতিটি মুহূর্ত? কি খাবার খান তারা? ছুটির দিন কেমন কাটান তারকারা? এইসব প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরে বেড়ায়। এর মাঝে সবথেকে বেশি যে বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল থাকে, তা হল তারকাদের শৈশব। কারণ একটাই, শৈশব থেকেই গড়ে ওঠে জীবনের ‘ব্লু-প্রিন্ট’। তাই একজন সফল অভিনেতা বা অভিনেত্রীর শৈশব নিয়ে আগ্রহ কমবেশি সকলেরই থাকে।
আজ আমরা যে মানুষটির শৈশবের কথা বলবো, তিনি বাঙালি দর্শকদের মনের বৈকুণ্ঠে অবস্থান করেন। বিশেষ করে মধ্যবয়সে এসেও মহিলাদের ‘ক্রাশ’ তিনি। তবে তার জনপ্রিয়তা পুরুষদের মধ্যেও কম নয়। কারণ একটাই, তিনি বারবার বাঙালির প্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ‘ব্যোমকেশ বক্সি’-কে জীবন্ত ককরে তোলেন তার সাবলীল অভিনয় দিয়ে। ঠিকই ধরেছেন। মানুষটি আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee)। ছিমছাম শরীর, গালে টোল, সুউচ্চ গড়ন- ব্যাস এতেই ঘায়েল বাঙালি রমণীরা। কিন্তু কেমন ছিল আবিরের শৈশব? এই নিয়ে যেমন কৌতূহল আছে দর্শকদের মনে, তেমনই শৈশবকে বেশ ‘মিস’ করেন অভিনেতা নিজেও।
কয়েকবছর আগে নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেতা। সেই ছবিতে দেখা যায় তার ছোটবেলার একটি মুহূর্ত। ছবিটা দেখা যাচ্ছে, সাদা জামা পরে হাসিমুখে বাড়িতেই বসে আছেন খুদে অভিনেতা। মুখে লেগে আছে আলগা একটা হাসি। পরনে সাদা জামা। পরিপাটি করে আঁচড়ানো চুল। চোখে পরিচিত সেই দ্বীপ্ততা। ছবিটি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘সেই দিনগুলি কেমন দিনই না ছিল!’। এই পোস্টে তার শৈশবের স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন তার অনুরাগীরাও। অনেকেই ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন এই পোস্ট, অনেকে আবার দিয়েছেন মিষ্টি সব ইমোজি। একজন আবার বলেছেন, ‘এই ছবি দেখে তো আপনাকে চেনাই যাচ্ছে না’; একজন আবার লিখেছেন, ‘কত্ত কিউট ছিলেন আপনি সেই সময়ে’।
প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষাজীবনে তিনি কমার্স নিয়ে পড়াশুনা করেন এবং এমবিএ করেন। একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেন তিনি। তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাংলা ছবিতে ব্যোমকেশের চরিত্রে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এই অভিনেতা। এছাড়াও নানা রহস্যময় ছবিতেও কাজ করেছেন এই অভিনেতা।
Woh din bhi keya thhe? “@Calcutta_Times: Guess these actor from childhood picture!http://t.co/onIAy0UlNw@itsmeabir pic.twitter.com/WRoZqpPSTJ“
— Abir Chatterjee (@itsmeabir) January 12, 2015