GossipHoop Plus

সৌন্দর্যে হার মানবে ঐশ্বর্য রাই, মিঠুনের স্ত্রীকে দেখে হিংসে করতেন নামজাদা নায়িকারাও!

টলিউড থেকে বলিউড- একসময় তার মত্ততায় মেতে থাকত দর্শককূল। হাউসফুল প্রেক্ষাগৃহের বাইরেও লেগে থাকত টিকিটের লাইন। তিনি আর কোন নন ‘ডিস্কো ডান্সার’ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। একটা সময় বলিউডের সম্রাট হয়ে উঠেছিলেন এই বাঙালি অভিনেতা। সেই সময়টায় তার নামেই ‘হিট’ হত সিনেমা। ধীরে ধীরে সকলের মুখে ‘মহাগুরু’ হয়ে উঠেছিলেন অভিনেতা। তবে শুধুমাত্র নাচ বা অভিনয় নয়, আরেকটি বিষয়ের জন্যও চর্চায় থাকত তার নাম। আর সেই চর্চার কারণ ছিল তার স্ত্রী যোগিতা বালির (Yogeeta Bali) সৌন্দর্য।

মিঠুন-যোগিতার সম্পর্কের সমীকরণটা একটু অন্যরকম। ১৯৫২ সালে মুম্বইয়ে জন্মানো এই সুন্দরী তরুণী অল্প বয়সেই পা রেখেছিলেন ফিল্মের সেটে। ধীরে ধীরে বলিউডে করে নিয়েছিলেন একটা শক্তপোক্ত জায়গা। আর এই অভিনয়ের মাঝেই গায়ক কিশোর কুমারের প্রেমে পড়েন অভিনেত্রী। তাদের প্রেম পরিণতি পায় ১৯৭৬ সালে। গায়কের সঙ্গে বিয়ে হয় যোগিতার। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। ২ বছর পরেই শেষ হয় কিশোর-যোগিতার সম্পর্ক। ১৯৭৮ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাদের।

তবে তার পরের বছরেই মোড় ঘোরে তার জীবনের। অভিনেত্রীর জীবনে আসেন ‘ডিস্কো ডান্সার’। ১৯৭৯ সালে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। সেই বছরেই হয় বিয়ে। একসাথে ঘোরাফেরা, ছবিতে অভিনয় করা, প্রেমের মুহূর্ত উপভোগ করা- এই জুটির সবটুকু তখন নজরে এসেছিল। আর এই সময়েই ‘মহাগুরু’কে নিয়ে চর্চা শুরু হয় তার অর্ধাঙ্গিনীর সৌন্দর্যের বিষয়ে। অনেকেই বলেন যে মিঠুন-পত্নীর সৌন্দর্য যেন হার মানায় নামজাদা নায়িকাদেরও।

প্রসঙ্গত, বহু বছর ফিল্মের সেট থেকে দূরে রয়েছেন যোগিতা বালি। শেষবার তাকে দেখা গিয়েছিল ১৯৮৯ সালে ‘আখরি বদলা’ ছবিতে। তারপর আর অভিনয় করেননি তিনি। তবে মিঠুন এখনো অভিনয়ে বেশ সাবলীল। সম্প্রতি অভিনেতা দেবের (Dev) সঙ্গে অভিনীত ছবি ‘প্রজাপতি’ মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে।

Related Articles