অভিনয় থেকে পরিচালনা ও প্রযোজনা- সবটাতেই তিনি সাবলীল। ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ ছবিতে যেন নিপুণভাবে মিলখা সিংয়ের চরিত্রে রং ঢেলেছিলেন তিনি। তিনি আর কেউ নন, বলিউডের চিরতরুণ অভিনেতা ফারহান আখতার (Farhan Akhter)। আর এই যাত্রাটা হয়তো শুরু হয়েছিল সেই শৈশব থেকেই। অভিনয় সহ অন্যান্য প্রতিভার বিকাশ ঘটেছিল সেই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে বড় হয়ে ওঠা থেকেই। তাই তার শৈশব কেমন ছিল, এই বিষয়টি অনেকেরই হয়তো জানতে ইচ্ছে করে।
অভিনেতা থেকে তার পরিবারের সদস্যরা- সকলেই তার শৈশব নিয়ে বেশ উৎসাহী। তারই প্রমাণ মিলল অভিনেতার ৪৯-তম জন্মদিনে। ৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩-এ জীবনের হাফ সেঞ্চুরির ঠিক দোরগোড়ায় এসে দাঁড়ালেন অভিনেতা। কিন্তু তাকে দেখে যেন কিছুই বোঝা দায়। ৪০-এর পর তরুণ খেলোয়াড়ের চরিত্রে কিভাবে অভিনয় করা যায়, তা এই অভিনেতা দেখিয়েছেন। শরীর এখনো সুঠাম, মুখে নেই বয়সের বলিরেখা। তাই গতবছরই হলিউডে পা রেখেছেন অভিনেতা।
আর তার জন্মদিনেই তার শৈশবকে মনে পড়ল তার দিদির। এই বিশেষ দিনে ভাইয়ের একটি সাদাকালো ছবি পোস্ট করলেন জোয়া। ছবিতে ছোট্ট ফারহানাকে দেখা যাচ্ছে। মিষ্টি একটা ছবি। অপলক দৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে আছে খুদে। পরনে সাদাকালো গেঞ্জি। তবে চোখে দ্বীপ্ততা স্পষ্ট দৃশ্যমান। ছবিটি পোস্ট করে অভিনেতার দিদি লিখেছেন, ‘বার্থডে বয়, আমি তোকে সব বছরই এভাবেই ভালোবাসি’। এই পোস্টে কমেন্ট করেছেন অভিনেতা নিজে। তিনি লিখেছেন, ‘থ্যাংকু জো’। পোস্টে কমেন্ট করে অভিনেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার অর্ধাঙ্গিনী শিবানি, ডান্ডেরকর, অভিনেতা হৃত্বিক রোশন, অভিষেক বচ্চন সহ তার এত অনেক অনুরাগীরা। সকলেই ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন খুদে ফারহানকে।
প্রথমে পরিচালক হিসেবে বি-টাউনে পা রাখেন ফারহান আখতার। ‘লমহে (১৯৯১) ও ‘হিমালয় পুত্র’ (১৯৯৭) ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেন তিনি। ‘দিল চাহতা হ্যায়’ (২০০১) ছবিতেও সহ পরিচালক ছিলেন তিনি। এই অভিনয় শুরু ‘রক অন!!’ (২০০৮) ছবিতে। তারপর একাধিক ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। পা রেখেছেন হলিউডেও ‘মিস মার্ভেল’ ছবিতে ওয়ালিদের চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। এর মাঝে ২০০০ সালে প্রথম বিয়ে এবং ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে অভিনেতার। বর্তমানে তার অর্ধাঙ্গিনী শিবানি ডান্ডেরকর।
View this post on Instagram