Lifestyle: কমলালেবু খেয়ে ভুলেও ফেলে দেবেন না খোসা, টিপসগুলি আপনার কাজে লাগবেই
জাঁকিয়ে শীত পড়েছে বাংলায়। আর এই শীতকাল মানেই নানা বাহারি ফল ও সব্জির সমাহার। ভোজনরসিক বাঙালির কাছে এই শীতকালের কয়েকটি মাস যেন উদরাভিরামের মাস। আর এই শীতে বাড়িতে খাবার পর হোক কিংবা অফিসে লাঞ্চবক্স শেষ করার পর, কমলালেবুর কোয়া খাওয়ার অভ্যাস সকলের কমবেশি রয়েছে। অনেকেই কমলালেবু খেতেও পছন্দ করেন। শুধু শীত নয়, সব ঋতুতেই কমলালেবু খাওয়া অভ্যেস অনেকের।
এটি খুব দামি ফল নয়, তাই ধনী হোক বা দরিদ্র সকলেই এই ফল খেতে পারে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এই সুস্বাদু ফল ত্বক ও মুখ ভালো রাখতে ভীষণ উপকারী। তবে শুধু ফল নয়, কমলালেবুর খোসাও বেশ উপকারী। শুনে অবাক হওয়ার কিছু নেই, খোসার আশ্চর্য সব গুণাবলী জেনে রাখলে অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা হবে আপনার। তাই একনজরে দেখে নিন, কমলালেবুর খোসা দিয়ে কি কি করা যাবে।
(১) ঘরের গন্ধ দূরীকরণে: শীতকালে ঘরে স্যাঁতস্যাঁতে গন্ধ হয়। আর এই গন্ধ দূর করার রাজা কমলালেবু। পাত্রে একটু জল নিয়ে তাতে অল্প দারুচিনি ও কমলালেবুর খোসা দিয়ে মিনিট দশেক ফুটিয়ে নিন। সেই জল দিয়ে ঘর মুছলেই ঘরের গন্ধ দূর হবে।
(২) দাঁত পরিষ্কার করতে: দাঁতের হলুদ ভাব দূর করতেও কমলালেবুর খোসার জুড়ি মেলা ভার। প্রথমে কমলালেবুর খোসার উপর একটু জল ছিটিয়ে নিন। সেটি দিয়ে দাঁত মাজলেই শঙ্খের মতো পরিষ্কার হবে দাঁত।
(৩) ত্বকের যত্নে: ত্বক ও মুখের যত্নেও কমলালেবুর খোসা খুব উপযোগী। তাই প্রথমে কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়িয়ে নিন। মুসুর ডাল বেঁটে তাতে এই গুঁড়ো মিশিয়ে মুখের ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে মুখের দাগ দূর হবে।
(৪) ব্রণ দূরীকরণে: মুখে ব্রণর সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে কমলালেবুর খোসা কাজে লাগতে পারে। খোসা আলাদা করে কয়েকদিন সেটিকে ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর সেটিকে বের করে ব্রণের উপর আলতো ঘষতে পারেন। এতে উপকার মিলবে।
(৫) খাবার তৈরিতে: কেক বা বিস্কুট তৈরিতে কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এটিকে শুকিয়ে গুঁড়ো করে কেক বা বিস্কুটের ব্যাটারের সঙ্গে মিশিয়ে নিলেও স্বাদ ও গন্ধে অতুলনীয় হবে আপনার কেক বা বিস্কুট।