Lifestyle: ব্রণ থেকে খুশকি সব দূর হবে জবা ফুলের ছোঁয়ায়, পদ্ধতিটা জেনে নিন
ঘন কালো চুল পেতে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। কিন্তু অনেক প্রাচীনকাল থেকেই জবা ফুল চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আপনি যদি চান, চুলকে সুন্দর করতে তাহলে আপনি জবা ফুলকে ব্যবহার করতে পারেন। এই পাঁচ রকম পদ্ধতিতে আপনি জবা ফুলকে ব্যবহার করুন, জেনে নিন সহজ টিপস। নারকেল তেলের মধ্যে পরিমাণমতো জবা ফুলের পাঁপড়ি দিয়ে খুব ভালো করে গরম করে ফুটিয়ে নিন, আর এই তেলটি আপনি ছেঁকে নিয়ে বার করলেই তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে, অসাধারণ জবা ফুলের তেল এটি চুলের গোড়ায় গোড়ায় খুব ভালো করে ম্যাসাজ করে এক ঘণ্টা রেখে, শ্যাম্পু করে ফেলুন, সপ্তাহে দুদিন করলেই যথেষ্ট।
জবা ফুলের হেয়ার সিরাম – ১ লিটার জলের মধ্যে গ্রিন টি ৫ মিনিট ধরে। এরমধ্যে জবা ফুলের পাঁপড়ি ভালো করে দিয়ে দিন। বেশ অনেকক্ষণ ধরে ফোটাতে হবে। জল অর্ধেকটা হলে ছেঁকে নিন। জবা ফুলের পাঁপড়ি খুব ভালো করে পেস্ট নিয়ে নারকেল তেলের সঙ্গে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগিয়ে ফেলুন। বাড়িতে যদি নিয়মিত করতে পারেন, তাহলে কিন্তু আপনার চুল ভীষণ সুন্দর হবে।
জবা ফুলের হেয়ার স্ক্রাবার – জবা ফুলের পেষ্টের সাথে কফি পাউডার খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে, এরপর এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিলে আপনার চুল ভীষণ সুন্দর হবে। মিশ্রণটি পুরো মাথার মধ্যে খুব ভালো করে খসে খসে লাগাতে পারলে, মাথার উপরে হাওয়া মরা চামড়ার সহজেই দূর হয়ে যাবে, শীতকাল পড়তেই অনেকের খুশকি সমস্যায় ভোগেন, তারা কিন্তু অবশ্যই এই হোম রেমেডিটি ফলো করতে পারেন।
ব্রণর সমস্যায় জবা – ফুল দিয়েছে শুধুমাত্র চুলেরই কেয়ার করবেন, তা নয়, জবা ফুলের ছোঁয়ায় আপনার মুখের উপরে হওয়া ব্রণ দাগ একেবারে দূর হয়ে যাবে। তাই ব্রণকে যদি দূর করতে চান তাহলে জবা ফুল জলের মধ্যে বেশ খানিকটা ফুটিয়ে সেই জল থেকে ব্রণের উপরে লাগাতে পারে তাহলে দেখবেন আপনার তো কত পরিষ্কার ঝকঝকে হয়ে যায়।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।