বর্তমান প্রজন্মের টলিউডের গায়িকাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইমন চক্রবর্তী। তার কণ্ঠের মূর্ছনায় মুগ্ধ বাংলা গানের শ্রোতাকূল। মূলত রবীন্দ্রসঙ্গীতে তার রাবীন্দ্রিক কন্ঠ প্রথমবার কানে ধরা দিয়েছিল শ্রোতাদের। ধীরে ধীরে আরো নানারকম আঞ্চলিক ও আধুনিক গানের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। একাধিক বাংলা ছবিতে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। গানের কেরিয়ারে চূড়ান্ত সফলতা লাভ করেছেন এই গায়িকা। তবে কেরিয়ার গড়ার নেশায় বাস্তব জীবনকে ভুলে যাননি তিনি। বাস্তব জীবনেও একইভাবে রঙিন এই গায়িকা। বিয়ে সেরেছেন বছরখানেক আগে। তবে এবার বাস্তব জীবনে স্বামীকে নিয়ে এক গুরুতর অভিযোগ করে বসলেন এই গায়িকা। পতিপরমেশ্বরকে নিয়ে কি বললেন ইমন? দেখে নিন বিস্তারিত।
কয়েক বছর আগে জি-বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দিদি নং-১’-এর মঞ্চে আসেন গায়িকা। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী তথা সুরকার নীলাঞ্জন ঘোষ। পুরনো সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আর এই শোয়ের মঞ্চে সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নবানে বাস্তব জীবনে স্বামীর প্রতি থাকা একাধিক অভিযোগের কথা স্বীকার করেন গায়িকা। গায়িকা এদিন তাদের প্রথম দেখা করার দিনটি স্মরণ করে বলেন, “প্রথমদিন ১৫ মিনিট দেরি করেছিলাম। খুব অপমান করেছিল আমায়।” তিনি আরো অভিযোগ করেন যে তার স্বামী নাকি তাকে সবসময় অপমান করেন।
যদিও এই ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে নীলাঞ্জন বলেন, “আসার সঙ্গে সঙ্গেই যেটা বলেছিল তা হল আমায় চলে যেতে হবে। ফ্লাইট ধরার নাম করে বার্থ ডে পার্টিতে গিয়েছিল। ও বোঝেনি গল্প দিলে কিছু লোক মুখ দেখে বুঝে যায়।” তারপরেই গায়িকা বলে ওঠেন যে তাকে এভাবেই সবসময় অপমান করে সে। যদিও এর জবাবে তার স্বামী বলেন, “আমি মাঝে মাঝে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই ভাগ্যিস আমার অনেক ধৈর্য।” গায়িকা তার পাল্টা জবাবে বলে ওঠেন, “আমি কিন্তু কিছুই এমন করি না, সবার কথাথটা শুনে চলি। আমার বাবাও এসে এসব ভুলভাল কথা বলে গেছে।” তবে তাদের ঘুরতে যাওয়ার প্রসঙ্গে নীলাঞ্জনকে বলতে শোনা যায়, “কোথাও একটা বেড় হবে। এক আলমারি জামার দিকে তাকিয়ে বলবে আমার কিছু নেই।”
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাতপাকে বাঁধা পড়েন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty) ও সুরকার নীলাঞ্জন ঘোষ (Nilanjan Ghosh)। এসব মজার অভিযোগ থাকলেও তাদের বন্ধন অনেকটাই অটুট। তাই গায়িকার গলায় এদিনই শোনা যায়, “সম্পূর্ণ আলাদা স্বভাবের দুটো মানুষ একসাথে পথ চলা শুরু করলো। আমি কিন্তু জানতাম এই লোকটাকে হাতছাড়া করা যাবে না। মা বাবাই আমার পরিবার আমার খুব কাছের কিছু মানুষ গুলো ছাড়া কেউই আমায় খুব একটা বোঝে না বা বুঝলে ভুলই বোঝে। তুমি বুঝেছো পাগলামিগুলোকে ভালোবেসেছো কিচ্ছু চাওনি, শুধু যত্ন করেছো।”