Arpita Mukherjee: স্ত্রীরোগজনিত সমস্যায় ভুগছেন পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা!
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিগত কয়েকমাস ধরেই গরাদের আড়ালে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। জেলে রয়েছেন তার একসময়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ও (Arpita Mukherjee)। একাধিকবার আদালতে তাদের জামিনের আবেদন করা হলেও প্রত্যেকবার তার খারিজ করেছেন মহামহিম বিচারপতি। বরং তাদের জেরার পর একের পর এক রাঘব বোয়ালের সূত্র খুঁজে পেয়েছেন ইডির দুঁদে গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে অনেকেই এখন জেলের অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু কেমন আছেন ‘অপা’ জুটি? কেমন দিন কাটছে তাদের?
মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। এদিন আদলতের এই বিশেষ কার্যকলাপে দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। যদিও তাদের শারীরিক অবস্থা ও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে দুজনকেই ভার্চুয়ালি এই শুনানিতে হাজির করা হয়। এদিনের শুনানিতে কেঁদে ফেলেন অর্পিতা। নিজের শারীরিক অবস্থার কথা ব্যক্ত করে তিনি বলেন যে তিনি নাকি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন এই মামলায়। তার মুখে কাঁপা গলায় শোনা যায়, “আমি জানি, আমি নির্দোষ। আমি রাজনীতি করি না। আমাকে কেন ষড়যন্ত্রের শিকার করা হচ্ছে জানি না।” এদিকে অর্পিতার আইনজীবী দাবি করেন যে স্ত্রীরোগের সমস্যায় ভুগছেন তার মক্কেল। তিনি আদালতকে বলেন, “অর্পিতার স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। পেটে ব্যথা হচ্ছে। জেলে ওঁকে শুধু পেনকিলার দেওয়া হচ্ছে। ওঁর চিকিৎসার প্রয়োজন।”
এদিকে এদিনের শুনানিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলাতেও নরম সুর শোনা যায়। তত কথাবার্তায় এটাই আন্দাজ ককরে যায় যে জেলের মধ্যে ভালো নেই তিনি। এছাড়াও তিনি দাবি করেন যে তার উপর মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এদিন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন যে তার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। এদিন নিজের মুখে তাকে বলতে শোনা যায়, “আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হচ্ছে। মানসিক ভাবে নির্যাতিত বোধ করছি।”
প্রসঙ্গত, গতবছর রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়ভার গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এর মধ্যে গত ২২ শে জুলাই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। সেখানে তাকে জেরার মাধ্যমে অর্পিতার সূত্র পায় তারা। অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে কোটি টাকার সন্ধান পান গোয়েন্দারা।