দিদি হয়ে বোনকে অভিনয় করতে দেননি রেখা। অন্তত এমনই গুঞ্জন রটে ছিল। একসময় সংসারের চাপে দুই বোনকেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল সিনেমা করার মধ্য দিয়ে। কিন্তু এক সময় রেখা চলে যায় গ্ল্যামার এর শীর্ষে, আর বিস্মৃতির আড়ালে তলিয়ে যায় রেখার বোন রাধা।
এই দুই বোনের বাবা ছিলেন বিখ্যাত চিত্রপরিচালক জেমিনি গণেশন। গণেশন এবং পুষ্পাবল্লীর দুই মেয়ে রেখা এবং রাধা। ছোটবেলা থেকেই সংসারের হাল টানতে দুই মেয়েই অভিনয় করতে শুরু করে। মায়ের পাশে শক্ত হাতে দাঁড়ান তারা। পুষ্পবল্লী এর আগেও একটি বিয়ে হয়েছিল সেখানকার তিন সন্তান এবং গণেশনের দুই সন্তানকে একাই বড় করেছিলেন রেখা ও রাধার মা পুষ্পাবল্লী।
পুষ্পাবল্লী ছিলেন খুব ভাল একজন তামিল অভিনেত্রী। কিন্তু বয়স হওয়ার সাথে সাথে তিনি সিনেমাও কম পাচ্ছিলেন, অগত্যা তার মেয়েদেরকে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করার সুযোগ কাজে লাগান।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে পড়াশোনা শেষ করে অভিনয়ের জগত বেছে নিতে হয়েছিল গ্ল্যামার কুইন রেখাকে। রেখা কোনদিনই অভিনয় জগতে আসতে চাননি। কিন্তু রেখার বোন অভিনেত্রী হতে চাইলে সেই সময় বাধা হয়ে দাড়ালো রেখা। রাধার অভিনেত্রী হওয়াতে তীব্র আপত্তি ছিল রেখার।
তবে আপত্তি থাকা সত্বেও কিছু তামিল সিনেমাতে নায়িকার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল রাধাকে। পরবর্তীকালে রাধা বিয়ে করেছিলেন এস এম আব্বাসের ছেলে মডেল ওসমানকে।
তবে বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে আমেরিকাতে সুখের সংসার করছেন রাধা। অভিনয় জগতে আসা হয়নি তো কি হয়েছে, সেখানেই তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত চিত্রশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেছে। তাছাড়াও অবসর সময় কাটে নৃত্যচর্চা করে। এত কিছু সত্ত্বেও রাধা ও রেখার মধ্যে সম্পর্কের এতোটুকু অবনতি ঘটে। পরবর্তীকালে নানান রকম অনুষ্ঠানে তাদের দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গেছে।