সুদীপা চ্যাটার্জী মানেই বিকেল ৪ঃ৩০ হাতে খুন্তি নুন হলুদ আর মুখ ভরা মিষ্টি হাসি নিয়ে হাজির। বাংলার সমস্ত টিনেজার দের ইনি সুস্বাদু দেশ বিদেশের সহজ পদ্ধতিতে রান্না শেখান। এতো হল রান্নার কথা। কিন্তু এ কী জানেন সুদীপা সবচেয়ে বেশী খুশি হন। তার চোখের মনি কে দেখে। না না অগ্নিদেব সুদীপার চোখের মনি নয়। চোখের মনি হল ছেলে আদিদেব। সে তো মায়ের হীরের টুকরো। আর বাড়ি থাকলে ছেলেকে ছাড়া কিছু বোঝেনা সুদীপা।
আর কাল ছিল ছোট্ট আদিদেবের ২ বছরের জন্মদিন। হ্যা এই তো কদিন আগে সুদীপা প্রেগনেন্ট হয়ে সুদীপার রান্নাঘর থেকে ছুটি নেন। সময় কি কারোর জন্য থেমে থাকে। দুবছর আগে উমার বিসর্জনের পর প্রথম ছেলেকে দেখতে পান সুদীপা। আদির প্রথম মায়ের দিকে তাকানো, প্রথম কান্না, দুষ্টুমি, আহ্লাদ এমনকি প্রথম মা বলা সবটাই মা সুদীপার কাছে স্মরণীয় । প্রতিটা মুহূর্তই তাঁর কাছে একটু বেশি স্পেশাল তাই তো তিনি এই মুহূর্ত হারাতে চাননা তাই সেগুলি ধরে রেখেছে নিজের মুঠো ফোনের ক্যামেরায়।
আর দুদিন আগে ছেলের জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেলের সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তগুলি এক একটি কোলাজ বানিয়ে শেয়ার করলেন নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে। দু’বছর আগে পঞ্চমীর দিন বাড়ির সদস্যদের হাতে সাধ খেয়েছিয়েন সুদীপা । তারপর ১২ নভেম্বর জন্ম হয়। তারপর থেকে ছেলের সাথে মায়েত পথচলা শুরু। সদ্য দুবছর হয়েছে পথচলা এখনো অনেক বাকি কিন্তু এই দুবছর টাও কেমন ছিল তা নিয়ে মা বানালেন ভিডিয়ো যা নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়। সাথে সুদীপা শেয়ার করেন এতদিন তিনি ছিলেন সঞ্চালিকা,লেখিকা,বাড়ির বৌমা সেখান থেলে এক শিশুর মা হওয়ার গল্প।
View this post on Instagram
এবার আসা যাক রাজপুত্রের এবছরের জন্মদিনের কথায়। এবছর করোনা মহামারীর জেরে চ্যাটার্জি বাড়িতে ধুমধাম করে পুজো না হলেও বাড়ির সদস্যদের দের নিয়ে হয়েছিল ঊমার আরাধনা। ছেলের জন্মদিনও অগ্নিদেব ও সুদীপা বাড়ির ছাদেই ছোট করে আয়োজন করলেও রাঁধুনি মা পালন করলেন এলাহি করে। খোলা ছাদেই পরিবারের উপস্থিতিতে আদি বাবু সুট ব্যুট পড়ে কেক কাটলেন। বাড়িতে জন্মদিন হলেও ছেলের পছন্দের থিম করা হয়েছিল। আদি যে ছোটা ভীম আর ভীমের বন্ধুদের কে খুব ভালোবাসে। তাই সুদীপার ভিমের বার্থডে তে উপস্থিত হয় কেকের ওপর পুরো ঢোলকপুর। তাতে রয়েছে ভীম, ছুটকি, কালিয়া-সহ ভীমের সমস্ত সাঙ্গোপাঙ্গরাই । মা আবার ছেলের জন্য গলায় সুর বাঁধলেন। ছেলের জন্মদিন পরিবারের সাথে জমাটি আড্ডায় কাটিয়ে দিলেন। এই ছবি গুলি বাবা মা দুজনে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন যা নিমেষে ভাইরাল।