whatsapp channel

Sharmila Tagore: সাফল্যের চূড়ায় থেকেও কি কারণে কাজ কমিয়ে দিয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর!

ঠাকুরবাড়ির তনয়া শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)-এর অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল কিংবদন্তী পরিচালক সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) নির্মিত ফিল্ম ‘অপুর সংসার’-এর মাধ্যমে। একসময় বম্বের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন শর্মিলা। ‘আরাধনা’ তাঁকে দিল…

Avatar

Nilanjana Pande

Advertisements
Advertisements

ঠাকুরবাড়ির তনয়া শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)-এর অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল কিংবদন্তী পরিচালক সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) নির্মিত ফিল্ম ‘অপুর সংসার’-এর মাধ্যমে। একসময় বম্বের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন শর্মিলা। ‘আরাধনা’ তাঁকে দিল স্টারডম। একের পর এক সুপারহিট ফিল্ম উপহার দিতে শুরু করলেন শর্মিলা। বঙ্গতনয়ার সৌন্দর্যের খ্যাতিও ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে। কিন্তু শর্মিলার জীবনের নায়ক হয়ে উঠেছিলেন টাইগার পতৌদি (Tiger Patudi) ওরফে মনসুর আলি খান পতৌদি। ক্রিকেটের কিংবদন্তী হওয়ার পাশাপাশি তিনি ছিলেন পতৌদির নবাব। তবে এহেন মানুষকেও কিন্তু প্রথমে পাত্তা দেননি শর্মিলা।

Advertisements

Advertisements

এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সোহা আলি খান (Soha Ali Khan Pataudi) জানিয়েছেন, টাইগারের সাথে একটি ফিল্মি পার্টিতে প্রথম দেখা হয়েছিল শর্মিলার। কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই শর্মিলার অনুরাগী ছিলেন টাইগার। তিনি ওই পার্টিতে বিভিন্ন ভাবে শর্মিলাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করলেও নায়িকা তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি শর্মিলারও ভালো লেগে গিয়েছিল টাইগারকে। 1968 সালে ইসলাম রীতিতে বিয়ে হয়েছিল শর্মিলা ও টাইগারের। ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে শর্মিলার নতুন নাম হয়েছিল আয়েশা। কিন্তু স্ক্রিননেম ছিল শর্মিলাই।

Advertisements

Advertisements

টাইগার রক্ষণশীল ছিলেন না। ফলে শর্মিলার কেরিয়ারে বিয়ের পরও কোনো বাধা আসেনি। একের পর এক ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি। কিন্তু সাফল্যের শীর্ষে থাকলেও একসময় ফ্যামিলি প্ল্যান করার জন্য নিজেই কাজ কমিয়ে দেন তিনি। টাইগার বরাবর স্ত্রীর সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতেন। পরবর্তীকালে একটি সাক্ষাৎকারে শর্মিলা জানিয়েছিলেন, তিনি চাননি তাঁর পেশাগত ব্যস্ততার কারণে তাঁর সন্তানরা একাকীত্ব বোধ করুন। তিনি সন্তানদের গুরুত্ব দিয়েছিলেন। একই সাথে তাঁদেরও একই ঐতিহ্য বহন করার শিক্ষা দিয়েছিলেন শর্মিলা।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Saba Pataudi (@sabapataudi)

কখনও নিজের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আফশোস করেননি শর্মিলা। সম্ভব হলে আজও সকলে একসাথে ডাইনিং টেবিলে রাতের খাবার খান। এখনও পরিবারকে এক সূত্রে বেঁধে রাখতে চান শর্মিলা।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Saba Pataudi (@sabapataudi)

whatsapp logo
Advertisements