শিশুশিল্পী হিসাবে ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ঐন্দ্রিলা সেন (Oindrila Sen)। তাঁর মতে, তাঁর কেরিয়ারের জন্য পরিশ্রম করেছিলেন তাঁর মা-বাবা। দরজায় দরজায় ঘুরে কাজ চাইতে হয়নি ঐন্দ্রিলাকে। তবে তাঁদের তৈরি করা স্থান সঠিক ভাবে বজায় রাখতে চান ঐন্দ্রিলা। অনেকে মনে করেন, অঙ্কুশ হাজরা (Ankush Hazra) তাঁর বয়ফ্রেন্ড হওয়ায় সুবিধা রয়েছে ঐন্দ্রিলার। কিন্তু ঐন্দ্রিলার বর্তমানে এই কথা শুনতে আর খারাপ লাগে না। বারো-তের বছর আগেও কখনও ভাবেননি এমন কথা। অঙ্কুশ তাঁর ভালো বন্ধু ছিলেন। সেখান থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। ঐন্দ্রিলা মনে করেন, একে অপরের জন্য ভাবা কোনো অন্যায় নয়। তবে তাঁরা শুধুমাত্র একে অপরের সাথে কাজ করবেন, এমন নয়। তার সাম্প্রতিক প্রমাণ হল ঐন্দ্রিলার ডেবিউ ওয়েব সিরিজ ‘শ্বেতকালী’।
তবে অনেক সময় কোনো চরিত্র শুনে ঐন্দ্রিলার যদি মনে হয়, এই চরিত্রের জন্য অঙ্কুশ মানানসই, তাহলেও কিছু বলেন না তিনি। কিন্তু প্রযোজনা সংস্থা থেকে অঙ্কুশের সাথে কথা বলার জন্য বললে তবেই ঐন্দ্রিলা কথা বলেন। অঙ্কুশও তাই করেন। তবে সাম্প্রতিক কালে তিনি একটি কান্ড ঘটিয়েছেন। একজন পরিচালক চিত্রনাট্য শোনাতে এসেছিলেন। কিন্তু অঙ্কুশের মতে, নায়িকার চরিত্রে ঐন্দ্রিলাকে মানাবে না। পরিচালককে অঙ্কুশ বলেন তাঁদের জুটির কথা না ভেবে ঐন্দ্রিলার পরিবর্তে অন্য নায়িকা খুঁজতে। পরে ঐন্দ্রিলা মজা করে কাঁচি করার কথা বললেও কিছু মনে করেননি তিনি। ব্যক্তিগত ভাবে ঐন্দ্রিলার সাথে বিক্রম চট্টোপাধ্যায় (Vikram Chatterjee)-র জুটি পছন্দ করেন অঙ্কুশ।
তবে অন্যদের মতো তাঁর ও অঙ্কুশের কোনো প্যাকেজ নেই বলে জানিয়ে দিলেন ঐন্দ্রিলা। কিছুদিন আগেই ‘সাজঘর’-এ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)-র সাথে রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করেছেন ঐন্দ্রিলা। প্রথমদিকে প্রসেনজিৎ-এর অস্বস্তি হলেও পরে তিনিই দৃশ্যটি সহজ করার উপায় বাতলে দেন। অঙ্কুশ তাঁদের শুটিং দেখে মজা করে বলেছেন, ঐন্দ্রিলার একটা হট ছেলে জুটল না। তাঁকে শেষ অবধি বাবার বয়সী প্রসেনজিৎ-এর সাথে রোম্যান্স করতে হল।
আগামী 24 শে ফেব্রুয়ারি, জি ফাইভ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে স্ট্রিমিং হতে চলেছে ঐন্দ্রিলার ডেবিউ ওয়েব সিরিজ ‘শ্বেতকালী’।
View this post on Instagram
