আর মাত্র একদিন পরেই আন্তর্জাতিক মাতৃদিবস। মায়েদের সম্মানে প্রতীকি হিসাবে এই দিনটি পালিত হয়। সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ, প্রায় প্রত্যেকেই মায়েদের উদ্দেশ্য করে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করেছেন বিভিন্ন মুহূর্ত ও স্মৃতি। কিন্তু কিংবদন্তী অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Moushumi Chatterjee) স্মৃতিচারণ করলেন তাঁর কন্যা পায়েল (Payel Sinha)-এর। মাত্র পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে মাকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন পায়েল।
শৈশব থেকেই জুভেনাইল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন পায়েল। এর ফলে অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে 2017 সালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর 2018 সাল থেকে কোমায় চলে যান পায়েল। তাঁর স্বামী ও পোশাক ব্যবসায়ী ডিকি সিনহা (Dicky Sinha) পায়েলকে বাড়িতেই রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনা মানতে পারেননি মৌসুমী। ডিকি ও তাঁর পরিবারের সাথেও মৌসুমীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। ফলে পায়েলের কাস্টডি চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন মৌসুমী। 2019 সালের ডিসেম্বর মাসে প্রয়াত হন পায়েল। পায়েলের মৃত্যুর পর মৌসুমীর বিরুদ্ধে তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের অভিযোগ তো ছিলই, উপরন্তু ডিকি জানান, একবারের জন্যও মেয়েকে শেষ দেখা দেখতে আসেননি মৌসুমী। কিন্তু পায়েলের বোন মেঘা (Megha)-কে নিয়ে তাঁর বাবা উপস্থিত ছিলেন পায়েলের শেষকৃত্যে।
View this post on Instagram
পায়েলের মৃত্যুর প্রসঙ্গে মৌসুমী বলেন, তিনি না চাইতেই ঈশ্বরের কাছ থেকে অনেক কিছু পেয়েছেন। একই ভাবে তিনিও নিজের আঁচল খালি করে মেয়েকে ভগবানের কোলে দিয়েছেন। কিন্তু মৌসুমী মনে করেন, ভারতীয় জওয়ানদের মায়েদের সন্তানশোকের সামনে তাঁর শোক কিছুই নয়। এই কারণে তিনি এখনও হাসতে পারেন, শান্তিতে ঘুমাতে পারেন। কিন্তু সকলের সামনে কাঁদার পক্ষপাতী নন মৌসুমী। তাঁর মা-বাবা তাঁকে এই ভাবেই তৈরি করেছেন বলে জানান তিনি।
সন্তানদের জন্য একসময় ফিল্মের কাজ কমিয়ে দিয়েছিলেন মৌসুমী। এই কারণে তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt)। কিন্তু মৌসুমী মনে করতেন, সন্তানরাই তাঁর জীবনের রঙ।
View this post on Instagram