একসময় রবীনা ট্যান্ডন (Raveena Tandon) ও গোবিন্দা (Govinda)-র জুটি বক্স অফিসে ছিল চূড়ান্ত সফল। একের পর এক কমেডি ফিল্মে অভিনয় করেছেন তাঁরা। গোবিন্দা ও রবীনার উপর পিকচারাইজড গান ‘কিসি ডিস্কো মে যায়ে’ এখনও অবধি আইকনিক। তবে সাম্প্রতিক একটি পডকাস্টে সঞ্চালক মণীশ পল (Maniesh Paul)-এর প্রশ্ন ছিল গোবিন্দার পেশাদারিত্ব নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, অনেকেই নায়কের প্রফেশনালিজম নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু গোবিন্দা বলেন, সফল ব্যক্তিকে প্রায় সকলেই নিচে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন।
গোবিন্দার মতে, তিনি যখন লাগাতার চৌদ্দ-পনের বছর অভিনয় জীবনের শীর্ষে ছিলেন, সেই সময় কেউ তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেননি। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সময়ের সাথে সাথেই মানুষ ও সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায় বলে মনে করেন তিনি। এবার গোবিন্দার দিকে ওঠা অভিযোগের আঙুল সম্পর্কে মন্তব্য করলেন রবীনা। তিনি জানান, গোবিন্দা দেরিতে শুটিংয়ে এলেও শুটিং শেষ হতে দেরি হত না। কারণ গোবিন্দা যথেষ্ট দ্রুত কাজ করতেন। রবীনার মতে, যে দৃশ্য অন্য নায়কদের ক্ষেত্রে চব্বিশ ঘণ্টা লাগত, একই দৃশ্য গোবিন্দা শেষ করতেন মাত্র এক ঘন্টায়। ফলে প্রযোজকদের তাঁর দেরিতে আসা নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। উপরন্তু গোবিন্দার ফিল্ম বক্স অফিসে ছিল যথেষ্ট সফল।
নায়িকা হিসাবে সকাল ন’টার সময় শুটিংয়ে পৌঁছালেও গোবিন্দা দেরিতে আসার ফলে রবীনা কিছুক্ষণ বিশ্রাম পেতেন। তিনি প্রযোজক ও পরিচালকের কথা মেনে চলতেন। ফলে নির্ধারিত দিনে সঠিক সময়ে শুটিংয়ে পৌঁছে ড্রেস পরে, মেকআপ করার পর গোবিন্দা যতক্ষণ না আসতেন, রবীনা ঘুমিয়ে নিতেন। কখনও ঘুম না এলে বই পড়তেন তিনি। সেই সময় রবীনা তিন-চার শিফটে কাজ করতেন। গোবিন্দা সেটে এসে পৌঁছাতেন দুপুর আড়াইটের সময়। কিন্তু তা নিয়ে রবীনার তখনও কোনো অভিযোগ ছিল না, এখনও নেই।
গোবিন্দার কাজের ধরনের জন্য সঠিক সময়ে শেষ হত শুটিং। ফলে শুটিং ইউনিটের কোনো অভিযোগ ছিল না।
View this post on Instagram