Hoop PlusTollywood

Sandipta Sen: আমাদের জীবনটা অনেক বেশি খোলামেলা: সন্দীপ্তা

‘মিটু’-র ব্যাখ্যা অনেকে অনেক ভাবেই দিয়ে থাকেন। তবে সব কর্মক্ষেত্রেই এই ধরনের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় পুরুষ ও নারীদের। একদমই তাই। শুধুমাত্র নারীরাই নন, পুরুষরাও ‘মিটু’-র শিকার। তবে ট্র্যাডিশন তাঁদের মুখ খুলতে বাধা দেয়। ‘মিটু’ আদৌ আন্দোলন কিনা তা বলা শক্ত। তবে এই সময় অনেকেই নির্দোষ ব্যক্তিদের কাছ থেকে স্বার্থ আদায় করতে তাঁদের ফাঁসিয়েছিলেন। ফলে একটা সময়ের পর ‘মিটু’ হারিয়েছে বিশ্বাসযোগ্যতা। তবে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন সন্দীপ্তা সেন (Sandipta Sen)।

সম্প্রতি হইচই-এ স্ট্রিম হয়েছে সন্দীপ্তার নতুন ওয়েব সিরিজ ‘নষ্টনীড়’। অদিতি রায় (Aditi Roy) পরিচালিত এই ওয়েব সিরিজের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে ‘মিটু’। বাস্তব জীবনে সন্দীপ্তার কাছে ‘মিটু’ একটি প্ল্যাটফর্ম যা তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ‘মিটু’-র বক্তব্য বহুদিন ধরে ঘটলেও তা নিয়ে প্রতিবাদ করার সুযোগ ছিল অত্যন্ত কম। অনেকেই নিজেদের সংসার ভাঙতে না চেয়ে সহ্য করেছেন, চুপ করে থেকেছেন। কিন্তু অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন। বর্তমানে খোলাখুলি এই ঘটনা নিয়ে অধিকাংশ মানুষ কথা বলতে পারছেন। ফলে সন্দীপ্তা ‘মিটু’ মুভমেন্টকে সমর্থন করেন। তবে তিনিও মানেন, ‘মিটু’-কে অনেকেই নিজের প্রয়োজনে অপব্যবহার করেছেন। ফলে এর গুরুত্ব কমে গিয়েছে। এমনকি 498 ধারাকেও অনেকে অপব্যবহার করেন। ফলে যাঁদের জন্য এই ধারা তৈরি, তাঁরা আদৌ উপকার পান না বলে মনে হয় সন্দীপ্তার।

এই অপব্যবহারের কারণেই ক্রমশ বাড়ছে অপরাধ। গুরুত্ব কমছে প্রতিবাদের। তবে সন্দীপ্তা জানালেন, গত পনের বছরের কেরিয়ারে তাঁকে এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়নি। অনেকেই মনে করেন, বিনোদন জগতে ‘মিটু’-র ঘটনা ঘটা অত্যন্ত সাধারণ। কিন্তু এই ধারণার প্রতিবাদ করে সন্দীপ্তা বলেন, বিনোদন জগতের মানুষদের জীবন অনেক বেশি খোলামেলা। সেলিব্রিটিদের জীবন সম্পর্কে জানতে সাধারণ মানুষ আগ্রহী। এই কারণেই বিনোদন জগৎ নিয়ে বেশি কথা হয়।

তবে ‘নষ্টনীড়’ শুধুমাত্র ‘মিটু’-র কাহিনী নয়, এই ওয়েব সিরিজে রয়েছে এক নারীর অস্তিত্বের কাহিনী যে সংসার করতে ভালোবাসলেও নিজের পরিচয়কে বিসর্জন দিতে চায় না। সম্পর্কের টানাপোড়েনের কাহিনী নিয়ে তৈরি ‘নষ্টনীড়’।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by SANDIPTA SEN (@sandiptasen)

Related Articles