মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) কিংবদন্তী হলেও তাঁর দলীয় রাজনীতির কারণে বর্তমানে তিনি অনেকের চক্ষুশূল। তাঁর অভিনীত ফিল্ম কিন্তু নন্দনে স্থান না পেলেও ভারত জুড়ে ব্লকবাস্টার হওয়ার পর আন্তর্জাতিক স্তরেই মুক্তি পেয়েছে। বাঙালির গর্ব বাড়িয়ে বলিউডের মাটিতে নিজের অস্তিত্ব তৈরি করলেও আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁকে জানানো হয় না আমন্ত্রণ। রাশিয়ায় এখনও বিখ্যাত মিঠুনের ‘জিমি জিমি’। কিন্তু এহেন মিঠুনকেও একসময় কাজ নিয়ে সমঝোতা করতে হয়েছিল। এবার তাঁর এই অজানা দিক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মিঠুন-পুত্র মহাক্ষয় ওরফে মিমো চক্রবর্তী (Mimo Chakraborty)।
প্রসঙ্গত, মিঠুনের কনিষ্ঠ পুত্র নমশি চক্রবর্তী (Namashi Chakraborty) তাঁর সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, একবিংশ শতকের গোড়ায় ‘গুন্ডা’-র মতো বি গ্রেড ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন তাঁর পিতা যা অনুচিত ছিল। এবার এই ঘটনাটি খোলসা করলেন মিমো। সিদ্ধার্থ ক্যানন (Sidhdharth Kannon)-এর শোয়ে এসে মিমো জানালেন, তাঁদের তুলনায় তাঁদের মা যোগিতা বালি (Jogita Bali) মিঠুনের উত্থান ও পতনকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। মিমোর শৈশবে মিঠুনের একটি ফিল্ম বক্স অফিসে অসফল হলেই মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরত কিংবদন্তী অভিনেতাকে। চারটে শিফটে কাজ করতেও আপত্তি ছিল না মিঠুনের। তাঁর হাত ধরেই বলিউডে ভ্যানিটি ভ্যানের প্রচলন হয়।
কিন্তু পারিবারিক খরচ চালানোর কারণে এবং নিজের হোটেল ব্যবসার জন্য ওই ধরনের বি গ্রেড ফিল্মে অভিনয় করতে বাধ্য হয়েছিলেন মিঠুন। সেই সময় উটিতে বলিউড অথবা দক্ষিণ ফিল্মের শুটিং হলেই মিঠুনের উটির হোটেলে উঠতেন সকলে যা ব্যবসার পক্ষে ছিল যথেষ্ট ইতিবাচক। তবে মিঠুন বি গ্রেড ফিল্মে অভিনয় করলেও সত্তর লক্ষ টাকার ফিল্ম বক্স অফিসে রিটার্ন দিত এক কোটি। অর্থাৎ সেখানেও সফল তিনি।
মিঠুনের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও তাঁর পরিবারকেই প্রথম প্রায়োরিটি দিয়েছেন তিনি যা সমর্থন করেন মিমোও। এখনও মিঠুন শুধুমাত্র ফিল্ম নয়, ওয়েব সিরিজ, ডান্স রিয়েলিটি শো সব ধরনের প্রোজেক্টেই রাখছেন নিজের স্বাক্ষর।
View this post on Instagram