এখনও অবধি কর্মজগতে মহিলাদের প্রায়ই হেনস্থার শিকার হতে হয়। তাঁদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মহিলারা সম্মান পান না। পিছিয়ে থাকেন মাইনের অঙ্কেও। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহিলারা মুখ খোলেন না। কারণ তাঁরা তাঁদের সমস্যার কথা জানালে সমাজ মহিলাদের প্রশ্ন করে, আদৌ এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেছিল কিনা! ঘটনা ঘটে যাওয়ার বহু পরে মুখ খুললে মহিলাদের প্রশ্ন করা হয়, এতদিন পর কেন মুখ খুললেন! এছাড়াও রয়েছে অশ্লীল কটাক্ষ। কিন্তু মহিলাদের একাংশ তাতে দমে যাওয়ার পাত্রী নন। এঁদের মধ্যেই রয়েছেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় মডেল, অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী মরিয়ম নাফিস (Mariyam Nafees)।
‘দায়র-এ-দিল’-এর মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন মরিয়ম। এরপর গত সাত বছরে টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু এর মধ্যেই তাঁর সাথে ঘটে গিয়েছে একটি ভয়াবহ ঘটনা। 2020 সালে এই ঘটনাটি জনসমক্ষে নিয়ে এসে যৌন হেনস্থার মামলা করেন মরিয়ম। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রমাণ সহ সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানিয়েছেন তিনি। মরিয়ম জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির নাম দানিশ মালিক (Danish Malik)। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মরিয়মের সাথে যোগাযোগ করে যৌন সঙ্গম করার কথা বলেন। দানিশ বলেন, তিনি মরিয়মকে ব্যক্তিগত ভাবে না চিনলেও এইটুকু জানেন, মরিয়ম একজন অভিনেত্রী।
View this post on Instagram
এরপর দানিশ মরিয়মকে বলেন, তিনি মরিয়মের সাথে কয়েক ঘন্টা কাটাতে চান। এমনকি তিনি মরিয়মের ম্যানেজারের ফোন নম্বর চেয়ে তাঁর সাথে কথা বলতে চান। দানিশ বলেন, তাঁর সাথে কয়েক ঘন্টা কাটানোর জন্য তিনি মরিয়মকে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা দেবেন। মরিয়ম তৎক্ষণাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই কথোপকথনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লেখেন, তিনি যৌনকর্মী নন, একজন অভিনেত্রী। এই ধরনের প্রস্তাব পেতে পেতে ক্লান্ত তিনি। এই ধরনের কথা তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। মরিয়ম এই ধরনের মনোযোগ রোখার চেষ্টা করলেও বুঝতে পারছেন না, তিনি কিভাবে এগোবেন! অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে মরিয়ম জানিয়েছেন, তিনি পণ্য নন।
খুব শীঘ্রই মরিয়ম অংশগ্রহণ করতে চলেছেন ‘দ্য আলটিমেট মুকাব’-এ। ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’-র আদলে তৈরি হয়েছে এই রিয়েলিটি শো।
View this post on Instagram