নারীশরীরের পরিবর্তন যথেষ্ট প্রাকৃতিক। হরমোনজনিত কারণে নারীর শরীরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। কিন্তু সমস্যা হল, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মহিলারা তাঁদের শারীরিক পরিবর্তনের কারণে প্রায়ই বডি শেমিং-এর সম্মুখীন হচ্ছেন। যদি কোনো মহিলা মনে করেন, তাঁকে ওজন কমাতে হবে, তাহলে তাঁকেও রেহাই দিচ্ছেন না নেটিজেনদের একাংশ। পাশাপাশি চেহারা স্থূলকায়া হলেও তাঁকে নিয়ে নেটদুনিয়ায় চলছে সমালোচনা। কখনও কখনও মনে হয়, নারীদের শরীরের উপর যেন তাঁদের নিজেদের অধিকার নেই। সমাজবদ্ধ সকলেই তাঁদের উপর অধিকার ফলানোর চেষ্টায় রত। এমন ঘটনা ঘটল ঐন্দ্রিলা সেন (Oindrila Sen)-এর ক্ষেত্রেও।
বর্তমানে বড় পর্দায় অভিনয় করেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু তাঁর হাতেখড়ি ছোট পর্দা থেকেই। অভিনেত্রী জীবনের প্রথম থেকেই ঐন্দ্রিলার চেহারা ছিল একটু ভারির দিকে। তবে বড় পর্দায় আসার পর চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে তাঁকে অনেকটাই ছিপছিপে হতে হয়েছে। সম্প্রতি স্লিম অ্যান্ড ট্রিম চেহারায় শুক্রবার কয়েকটি ছবি ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। ছবিগুলিতে তাঁর পরনে ছিল নীল রঙের ড্রেস। ড্রেসটি জুড়ে ছিল গোলাপি রঙের ফ্লোরাল প্রিন্ট। ঐন্দ্রিলার সৌন্দর্যের প্রশংসা করে কমেন্ট করেছেন রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। কিন্তু নেটিজেনদের একাংশের ঘোর অপছন্দ তাঁদের প্রিয় নায়িকার রোগা চেহারা।
একজন নেটিজেন লিখেছেন, ঐন্দ্রিলা আগে কি সুন্দর গোলগাল ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁকে দেখতে ভালো লাগছে না। অপর এক নেটিজেন লিখেছেন, মোটা চেহারায় ঐন্দ্রিলাকে বেশি সুন্দর লাগত। তবে ঐন্দ্রিলা যখন মোটা ছিলেন, তখনও অনেকে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। বর্তমানে কোনো সমালোচনাকে পাত্তা দেন না তিনি। এমনকি পড়েন না সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্টের নিচে কমেন্ট।
সাম্প্রতিক কালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লাভ ম্যারেজ’ ফিল্মে প্রশংসিত হয়েছে ঐন্দ্রিলার অভিনয়। পাশাপাশি জি ফাইভের ওয়েব সিরিজ ‘শ্বেতকালী’-তেও অভিনয় করেছেন ঐন্দ্রিলা।
View this post on Instagram