করোনার মাঝেই নতুন বিপর্যয়, ধেয়ে আসছে এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়!
গত নভেম্বর মাসে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুর সমুদ্রতটে আছড়ে পড়েছিল ঘুর্ণিঝড় নিভার। এবার তার রেশ কাটতে না কাটতেই আরো এক ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ ভারতে আছড়ে পড়তে পারে। অবশ্য এই ঝড় আসার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই আসন্ন ঝড়টির নাম ‘অর্ণব’। নিভারের ক্ষত এখনো দক্ষিণ ভারতের মানুষ ভুলতে পারেনি। অবশ্য এই ঝড়টি কবে আসবে আর এর গতিবেগ সেই বিষয়ে এখনো কিছু জানাননি আবহাওয়া দপ্তর।
এই ঝড়টির নামটি ‘অর্ণব’ বেশ অদ্ভূত। এই রকম অদ্ভূত ঝড়ের নাম মায়ানমার, ইরান, ওমান, পাকিস্তান, কাতার এবং সৌদি আরবের মতো বিভিন্ন দেশ মিলে এই নামকরণ করেন। সবাই মিলে মোট ১৬৯ টি নামের একটি তালিকার অংশগ্রহণ করেছিল। ভারত, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন ১৩ টি দেশ প্রস্তুত একটি তালিকা থেকে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় গুলির নামকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অগ্নি ঝড়ের নামকরণ এই ভাবে করা হয়েছে।
এবার ডিসেম্বর মাসে বাংলার আবহাওয়া টা একবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক। ডিসেম্বর মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। নভেম্বর মাসের শেষে বেশ ঠান্ডা পড়লেও তারপর ঠান্ডা কমে যায়। এদিকে ডিসেম্বরের এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও এখনও আর সেই ঠান্ডার আমেজ টের পেল না পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। এদিকে সামনেই ক্রিস্টমাস ঠান্ডার দেখা নেই। কখনো এই তাপমাত্রার পারদ সামান্য নিম্নগামী হলেই, পরক্ষণেই তা আবার চড়তে শুরু করছে। তবে বর্তমানে শীতের পথে কাঁটা হয়ে রয়েছে এই উর্দ্ধগামী তাপমাত্রা। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিছু সময় পর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সোমবার সকাল থেকে কলকাতা শহরে হাল্কা মেঘাচ্ছন্ন দেখা গেলেও, বেলা বাড়তে কিছুক্ষণের মধ্যে দিয়ে উঁকি দিয়ে সূর্য নিজের মতো আকাশে অবস্থান করেছে। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমান ৯০ শতাংশ। বাংলায় এখনই হাড়কাপানো শীতের আমেজের আগমন কবে ঘটতে চলেছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। শুধুমাত্র সাগরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় সংগঠিত হচ্ছে, আর তার পরোক্ষ প্রভাবে ঠান্ডা না পড়ে বরং চড়চড় করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।