Kuntal Ghosh: সায়নীকে হেনস্থা করা হচ্ছে: কুন্তল ঘোষ
সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)-কে নিয়ে বর্তমানে তৈরি হয়েছে টানাপোড়েন। এর আগে গত শুক্রবার সায়নীকে ইডির দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। টানা এগারো ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে একটি ফর্ম ফিল আপ করতে দেওয়া হয় যাতে সায়নীর প্রতি নির্দেশ ছিল তাঁর যাবতীয় সম্পত্তির হিসাব দেওয়ার। কিন্তু সায়নী যে নথি জমা দিয়েছেন তা অসম্পূর্ণ। উত্তরেও রয়েছে অসঙ্গতি। কিন্তু সায়নী জানিয়েছেন, তিনি ইডির তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। এরপর 5 ই জুলাই তাঁকে দ্বিতীয়বার সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হলে সায়নী পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকার জন্য ইডির সামনে উপস্থিত হতে পারেননি। ফলে তাঁকে আবারও 11 ই জুলাই ইডির দফতরে তলব করা হয়েছে।
View this post on Instagram
অপরদিকে শুক্রবার নিয়োগ দূর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় আবারও সায়নীকে টাকা দেওয়ার দাবি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)-এর মুখে। কুন্তলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানানো হয়েছে, 2021 সালের অগস্ট মাসে সায়নীর সাথে কুন্তলের আলাপ হয়েছিল। এরপর পুজো সহ মোট চারটি সমাজসেবামূলক কাজের উদ্বোধনের জন্য সায়নী তাঁর কাছ থেকে মোট এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা নিয়েছিলেন বলে এদিন আদালত চত্বরে জানিয়েছেন কুন্তল। ওই অর্থ পিআরের মাধ্যমে তাঁকে দিয়েছিলেন কুন্তল। এছাড়াও কালীঘাটে একটি বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য কুন্তলের কাছ থেকে ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছিলেন সায়নী। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এক টলিউড অভিনেতা যাঁকে টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল।
এদিন কুন্তল জানান, তাঁদের প্রচুর সমাজসেবামূলক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সায়নী। পাশাপাশি বলিউডের এক অভিনেত্রীর কথাও বলেছেন তিনি। কুন্তল জানিয়েছেন, একটি পানশালা উদ্বোধনের জন্য ওই অভিনেত্রীকে তিনি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানটি ক্যানসেল হলেও নিজের টাকা ফেরৎ পাননি কুন্তল। তিনি বলেন, ওই অভিনেত্রীকে ইডির তলব করা উচিত। কিন্তু এত কথা আদালত চত্বরে ঘনিষ্ঠ মহলে বললেও মিডিয়ার সামনে একশো শতাংশ ঘুরে গিয়ে কুন্তলের বক্তব্য, সায়নীর সাথে তাঁর কোনো আর্থিক লেনদেন হয়নি। অযথা তলব করে সায়নীকে রাজনৈতিক ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে দাবি কুন্তলের।
View this post on Instagram
বর্তমানে গল্ফ গ্রীন এলাকায় সায়নী ও তাঁর মায়ের নামে দুটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে যার একটির দাম আশি লক্ষ টাকা। কুড়ি লক্ষ টাকা সায়নী নগদ দিলেও ফ্ল্যাটটি কেনার জন্য একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ষাট লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। এমনকি সায়নীর ব্যবহার করা গাড়িটি তাঁর নিজের নামে রয়েছে। ফলে তাঁর আয়ের উৎস কি তা জানার জন্য ইডি দফতরে আবারও তলব করা হয়েছে সায়নীকে।